বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

আধুনিকায়নে যশোর বিমান বন্দর

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

উন্নত হচ্ছে যশোর বিমানবন্দর। বিমান উড্ডয়ন, ল্যান্ডিং ও পার্কিং এরিয়া বৃদ্ধিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে তাই পুরোদমে চলছে উন্নয়ন কাজ।এই বছরের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের আগস্ট মাস নাগাদ এই কাজ শেষ হবে। তবে পুরাতন এ বিমানবন্দরটির রয়েছে নানা সংকট। কর্তৃপক্ষ বলছেন, চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কেটে যাবে সব সংকট। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে যশোরে বিমান ঘাঁটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর উপযোগী একটি বিমানবন্দর চালু হয়। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই বিমান ঘাঁটি সচল ছিল। এরপর ভারত ভাগ হলে ১৯৫০ সালে যশোরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৫৬ সালে যশোরে ২৮৭ একর জমির ওপর পূর্ণাঙ্গ বিমান বন্দর চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে যশোরে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর চালু হয় ১৯৬০ সালে। পিআইএ চট্টগ্রাম, যশোর ও ঈশ্বরদী থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।

শুরুতে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের মাত্র দুটি ফ্লাইট চলাচল করত। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দিনে নয়টি যাত্রীবাহী বিমান যাওয়া-আসা করে। সঙ্গত কারণে দিন দিন বাড়ছে যাত্রীসংখ্যাও। এছাড়া কার্গো বিমানের ৫-৬টি ফ্লাইটও যাতায়াত করছে। বর্তমানে যশোর বিমানবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। তবে সে তুলনায় বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। সেকেলে অবকাঠামো দিয়ে চলছে বিমানবন্দরের কার্যক্রম। পুরাতন ভবন, অসম্প্রসারিত রানওয়ে ও পার্কিং এমনকি বাড়েনি যাত্রীদের বসার জায়গা। এভাবেই চলছে দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র বিমানবন্দরটি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, যশোর পুরাতন ঐতিহ্য জেলা হিসেবে যেমন উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল সে তুলনায় হচ্ছে না। এখানকার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা হয়ে উঠেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, ৬২ বছরের পুরাতন এ বিমানবন্দরটিকে আধুনিকায়ন করতে রানওয়ে সম্প্রসারণ, পার্কিং এরিয়া (অ্যাপ্রোন) বৃদ্ধি, পাপাটেক্স ও ট্যাক্সিওয়ের উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।

এছাড়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ভেরিহাই ফ্রিকোয়েন্সি ও মনিডিরেকশনাল রেডিও রেঞ্জ (ডিভিওর), নিরাপত্তা দেওয়াল, গেট, ভিআইপি গাড়ি পার্কিং এরিয়া সম্প্রসারণসহ বেশ কয়েকটি কাজ। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন, কনভেয়ার বেল্ট নির্মাণের কাজ। চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে এটা আধুনিক ও মানসম্মত বিমানবন্দর হবে বলে মনে করেন যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আলমগীর পাঠান। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সবকিছু সম্পন্ন হলে মানসম্পন্ন ও আধুনিক বিমানবন্দরে পরিণত হবে। প্রায় ৩৩ কোটি টাকা বাজেটের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ। বন্দরের সম্প্রসারনের কাজ শেষ হলে একইসাথে এটি ৬০০ যাত্রীর আ্যকোমোডেশন এর ব্যবস্থা করতে সমর্থ হবে।দেশের উন্নয়নের জন্য রেল, সড়ক, বিমানসহ সকল বিভাগের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিমানবন্দরের কাজ তারই একটা অংশ। বিমানের যাতায়াত সুবিধা ও সেবার মান বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে বিমান বন্দরগুলোর যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন, বিমান ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন না আনলে সে সুবিধা যাত্রীরা ভোগ করতে পারবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com