আল্গনকুইন আদিবাসীদের ঘিরেই আল্গনকুইন পার্কের ইতিহাসের শুরু। প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য অনুযায়ী ষোড়শ শতকে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীদের উত্তর আমেরিকায় আসার আগে পর্যন্ত অটোয়া উপত্যকা এবং তৎসংলগ্ন বিশাল এলাকা প্রায় ৮,০০০ বছর ধরে আল্গনকুইন আদিবাসী অধ্যুষিত ছিলো।
কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক সরকার কতৃক ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আল্গনকুইন পার্ক হচ্ছে কানাডার সর্বপ্রথম প্রাদেশিক পার্ক যা পরবর্তী সময়ে অন্টারিও ব্যাপী অসংখ্য পার্ক প্রতিষ্ঠায় পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। আল্গনকুইন পার্ক প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনোদনমূলক বিভিন্ন বিষয় এবং মূল্যবোধের ধারক বাহক হিসেবে দেশ বিদেশের প্রকৃতিপ্রেমী অগণিত ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এক আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
টরন্টো এবং অটোয়া থেকে প্রায় সমান দূরত্বে অবস্থিত অন্টারিও প্রদেশের সব চেয়ে পুরনো এ’পার্ক প্রায় ৭৭০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এর সীমানায় আছে ১০০০ এর বেশী বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ/ গাছপালা আর ২০০ এর বেশী বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী।
পার্ক প্রতিষ্ঠাকালে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – প্রত্ন-অরণ্য/আদি অরণ্য সংরক্ষণ, বন্য পশুপাখির নিরাপত্তা বিধান, বন গবেষণা, পর্যটন/ স্বাস্থ্য বিনোদনের সুযোগ তৈরি করা এবং জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় ইতিবাচক ভুমিকা রাখা।
কিন্তু কানাডার সব জাতীয় এবং প্রাদেশিক পার্কে বাণিজ্যিক ভাবে গাছ কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও আল্গনকুইন পার্কে বাণিজ্যিকভাবে গাছ কাটা আইনসিদ্ধ যা জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা/পরিবেশ সংরক্ষণের অনুকুল নয়। এ’ ছাড়া বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম/নিরাপত্তা বিধান আর পর্যটন কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ পারস্পরিক সাংঘরষিক বিষয়। বিষয়গুলো নিয়ে ইদানিংকালে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে, হয়তো ভবিষ্যতে পার্ক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া