আটলান্টা এয়ারপোর্টের সবচেয়ে বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে ডেল্টা এয়ারলাইন। এটিকে ডেল্টা এয়ারলাইনের হাব ও বলা হয়। এছাড়া ইস্টার্নএয়ারলাইন ও এয়ারপোর্টটিকে হাব হিসেবে ব্যবহার করে।এরপর সাউদার্ন এয়ারওয়েজ বিমান বন্দরটি হাব হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে বিমান বন্দরটির জনপ্রিয়তা কয়েকগুন বেড়ে যায়।
১৯৫৭ সালে প্রায় ২ মিলিয়ন যাত্রী ব্যবহার করেছে এয়ারপোর্টটি। এই এয়ারপোর্টে কাজ করে প্রায় ৬৩ হাজার কর্মী। ১৯৮৪ সালে বিমান বন্দরটিতে পাশাপাশি চারটি রানওয়ে চালু করে। পরবর্তী বছরে আরো একটি রানওয়ে যোগ হয়েছে বিমানবন্দরটিতে। প্রথম চারটি রানওয়ে লম্বায় প্রায় ৯ হাজার ৭৭০ মিটার এবং পঞ্চমটি প্রায় ১১ হাজার ৮৯০ মিটার লম্বা। এই রানওয়েটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় রানওয়ে। জার্জিয়ার আটলান্টা থেকে এই বিমানবন্দরটি ৯ কি.মি দূরে অবস্থিত।
আটলান্টা এয়ারপোর্টে ১৯২টি গেট রয়েছে। ১৫২ টি ভমেন্টিক এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি প্রায় ৪০টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন বিমান বন্দরটি ব্যবহার করে। বিমানবন্দরটি ৪৭০০ একর জমির উপর নির্মিত এবং টার্মিনালগুলো নির্মান করা হয়েছে ১৩০ একর জমির উপর। এই এয়ারপোর্ট থেকে আমেরিকার সবজায়গায় ফ্লাইট পরিচালিত হয়। মধ্য আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার নাম করা এয়ারপোর্টগুলোতে এখান থেকে ফ্ল্যাইট পরিচালিত হয়ে থাকে।
ল্যান্ডিং এবং টেক অফের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাইট আটলান্টা এয়ার পোর্ট ব্যবহার করে।বর্তমানে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ১০৭ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে বিমান বন্দরটি। প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ্য যাত্রী চলাচল করে এই এয়ারপোর্ট দিয়ে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০০ বিমান এই এয়ারপোর্টটিতে ল্যান্ডিং এবং টেক ফ করে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ডেল্টা এয়ারলাইন। এরপরই রয়েছে সাউদার্ন এয়ার লাইন ও আমেরিকান এয়ারলাইন।
বিমান বন্দরটি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত। সবধরনের উন্নত সুযোগ সুবিধা রয়েছে এয়ারপোর্টটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুবই উন্নত। ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাকি দিয়ে কোন কাজই এখানে করা যায় না।এই এয়ারপোর্টে হোটেলের ব্যবস্থা আছে। ট্রানজিট যাত্রীরা এই হোটেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথম দুই ঘন্টায় আপনাকে দিতে হবে ৪২ ডলার করে। তারপর প্রতি ঘন্টার জন্য গুনতে হবে ৮ ডলার করে।
এয়ারপোর্টের ভিতরে একটি আর্ট এক্সিবিশন চোখে পড়বে। এটি দৃষ্টিনন্দনভাবে সজ্জিত। এয়ার পোর্টেরভাবমূর্তি বাড়িয়েছে শতগুন এই আর্ট এক্সিবিশন।