বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রাকে বাংলাদেশের আকাশে নতুন তারকা বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী নকীব খান।
রবিবার (১১ জুন) সকালে আগ্রাবাদের মক্কা মদিনা টাওয়ারের নিচতলায় এয়ার অ্যাস্ট্রার অফিস উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নকীব খান বলেন, আসলে আমাকে প্রচুর ফ্লাই করতে হয়। আমি যতটুকু এয়ার অ্যাস্ট্রায় ফ্লাই করেছি আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো।
কেউ যখন ফ্লাই করে- তখন কাস্টমার কেয়ার, লাগেজ হ্যান্ডলিং, সময়ানুবর্তিতা দেখে। রাইট টাইমে ফ্লাই করা এবং গন্তব্য পৌঁছানো থাকে লক্ষ্য। অ্যাভিয়েশন প্রতিযোগিতামূলক মার্কেট। সেবা ভালো হলে সাফল্য বেশি। ফ্লাইট নানা কারণে ডিলে হতে পারে কিন্তু টাইম মেনটেইনের চেষ্টা থাকতে হবে। যারা ফ্লাই করে তারা এটা আশা করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, নয় বছর পরে বাংলাদেশে এয়ার অ্যাস্ট্রা সার্টিফিকেশন পেয়েছে নভেম্বরে। আমাদের তিনটি এয়ারক্রাফট আছে। লক্ষ্য, এ বহরে ৬টি এয়ারক্রাফটে উন্নীত করার। নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত হলে দেশের বাকি গন্তব্যে ফ্লাইট অপারেশন করবো। নভেম্বরে এক বছর পূর্ণ হবে। তারপর ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করের বোঝা বাড়লে ভাড়া বাড়বে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কতটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সেই চেষ্টা থাকবে আমাদের। রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট স্টাডি করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এয়ার অ্যাস্ট্রার হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড এয়ারলাইন সিকিউরিটি গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবিএম সরোয়ার ই জামান, ডেপুটি ম্যানেজার সাকিব হাসান শুভ প্রমুখ।
এটিআর ৭২-৬০০ তিনটি এয়ারক্রাফট দিয়ে এয়ার অ্যাস্ট্রা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ৪টি, কক্সবাজারে ৪টি, সৈয়দপুর ২টি ও সিলেটে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অনলাইনের পাশাপাশি আগ্রাবাদে এয়ার অ্যাস্ট্রার অফিস থেকে সরাসরি টিকিট কিনতে পারবেন। এ ছাড়া টিকিট ক্যানসেল, রিফান্ড, ফ্লাইটের সময় পরিবর্তনসহ বিভিন্ন সুবিধাও পাওয়া যাবে এই অফিস থেকে ।