২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে তীব্র আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ হতাহতের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বর্তমানে ভারতে আশ্রিত আছেন।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ এখন নতুন সংকটের মধ্যে পড়েছে। দলের নেতারাও নিজেদের দোষ স্বীকার না করে, একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বার্তাসংস্থা আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, দলের নিম্নস্তরের নেতাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তারা বলছেন, দল এখন জনগণের সাথে সংযোগ হারিয়েছে। অনেক নেতার মতে, ২০১৪ সাল থেকে দলের নেতৃত্ব পরিবার ও সুযোগসন্ধানীদের হাতে চলে গেছে, যা এই বিপর্যয়ের কারণ।
আওয়ামী লীগ এখনও ছাত্র আন্দোলনের জন্য কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। দলটির যুব শাখা যুবলীগ আন্দোলনকে “সন্ত্রাসী উত্থান” হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে আন্দোলন হয়েছিল।
দলটি এখন কঠিন অবস্থানে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার পর দলের পুনর্গঠন খুব কঠিন। দলের নেতাদের মধ্যে একতা না থাকলে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই ২০২৪ সালের আন্দোলনে ঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, বর্তমান নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
সূত্র: আল-জাজিরা