কারণ আইফেল টাওয়ার পৃথিবীর প্রথম টাওয়ার যেটিকে শুধুমাত্র প্রতীক এর জন্য নির্মাণ করা হয়েছিলো কোন রকম বাণিজ্যিক ভাবনা ছাড়াই। আর এই টাওয়ারটি দীর্ঘ ৪০ বছর পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বিল্ডিং বা টাওয়ারের মর্যাদা ধরে রেখেছিলো।
আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের জাতীয় ও গৌরবের প্রতীক হওয়ার সাথে সাথে এটি সমস্ত ইউরোপের ও পরিচিতির একটি অন্যান্য নিদর্শন। সমস্ত ইউরোপে খুব কমই নিদর্শন রয়েছে যেটি এই টাওয়ারের থেকে বেশি জনপ্রিয়।
ফ্রান্সের আগত পর্যটক ও বিভিন্ন দর্শনার্থীদের কাছে আইফেল টাওয়ারটি ভ্রমণ ও বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ বলে বিবেচিত হয়। ফ্রান্সের অর্থনীতির ও টুরিস্ট আয়ের প্রধান স্পটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আইফেল টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের স্বাধীনতার স্বারক বা খুশিতে এটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। তবে প্রথমে ফ্রান্সের সরকার কিছুটা সময় নিয়ে ও কিছু শর্তে এই টাওয়ারটি নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমতি প্রদান করে।
এই টাওয়ারটির নির্মাণের পূর্বে সরকারি নির্দেশে প্রায় একশো এর অধিক নকশাবিদ একসাথে তাদের অংকিত নকশা ফ্রান্স সরকারের কাছে জমা করেন অনুমোদন পাওয়ার জন্য। কিন্তু গুস্তাফ আইফেল এর আঁকা এই নকশাটি অনুমোদন দেয়া হয়।
গুস্তাফ আইফেল ছিলেন আইফেল টাওয়ার নির্মাণের পূর্ব থেকেই একজন নামকরা নকশাবিদ তিনি ফ্রান্সের পক্ষথেকে আমেরিকাকে উপহার হিসেবে দেয়া statue of liburty স্টেট টির স্তম্ভের প্রধান নকশাটি এঁকেছিলেন।