আইডি না থাকায় লন্ডন বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে বিমানের একজন সিনিয়র পাইলটকে। বাধ্য হয়ে চরম ঝুকি নিয়ে এক পাইলট ও এক ফাস্ট অফিসার দিয়ে ওই ফ্লাইটকে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। সম্প্রতি বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। জানাগেছে পাইলটের এই স্বেচ্চাচারিতা ও খামখেয়ালির কারণে বিমানকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা গুনতে হতে পারে। একই সংগে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে বিমানকে বড় ধরনের মাসুল গুনতে হতে পারে। এই ঘটনায় বিমান কতৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন কিংবা ওই পাইলটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। বর্তমানে অভিযুক্ত পাইলট লন্ডনে বিলাস জীবন কাটাচ্ছেন। জানাগেছে অভিযুক্ত এই পাইলট বিমানের ফ্লাইট অপারেশ বিভাগের সেফটি বিভাগের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সেফটি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েও সংশ্লিস্ট পাইলট সেফটি নিয়ে বিমানকে বুড়ো আংগুল দেখিয়েছেন।
বিমান সুত্রে জানাগেছে গত ৩১ জানুয়ারী লন্ডনে এই ঘটনা ঘটেছে। ফ্লাইটটি গত২৯ জানুয়ারী বিজি ২০১ হয়ে ঢাকা থেকে লন্ডনে যায়। এরপর বিজি ২০২ হয়ে ৩১ জানুয়ারী লন্ডন থেকে ফিরে আসে। সাধারণত বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের পাইলটরা ভিসা ছাড়া বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট নিয়ে যান। ভিসা না থাকায় তাদেরকে সংশ্লিস্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী এয়ারলাইন্সের আইডি দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। একই সংগে আইডি দেখিয়ে দেশে ফিরতে হয়। ৩১ জানুয়ারী দেশে ফেরার সময় ওই পাইলট লন্ডনের বিমানবন্দরে বিমানের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হন। এরপর লন্ডনের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেন। এরপর বাধ্য হয়ে বিমান কতৃপক্ষ একজন পাইলট ও একজন ফাস্ট অফিসারকে নিয়ে দেশে ফিরে আসে। নিয়ম অনুযায়ী লন্ডনে ফ্লাইট চালাতে হলে একটি ফ্লাইটে ২ জন পাইলট ও একজন ফাস্ট অফিসার থাকতে হয়।
বিমানের এই পাইলটের বিরুদ্ধে এর আগেও অসংখ্য অভিযোগ আছে। তার খামখেয়ালিকতার কারণে এর আগে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে ফ্লাইটে মারা যান।জানাগেছে বিজি ৩৫০ দাম্মাম থেকে দেশে ফেরার সময় মোহাম্মদ শাহজালাল (৪২) নামে একজন যাত্রী বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফ্লাইটটি তখন কলকাতার আকাশে অবস্থান করছিল। বিমানের যাত্রীরা এসময় পাইলটকে কলকাতায় ল্যান্ড করানোর জন্য অনুরোধ করলেও ওই পাইলট তাদের অনুরোধ পাত্তা না দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় ফেরার পর দেখা গেছে ওই যাত্রী মারা গেছেন। এই ঘটনায়ও ওই পাইলটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। অভিযোগ আছে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী এমপি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অভিযোগ আছে সেসময় বিমানের এই পাইলট আওয়ামীলীগ সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিকে বিমানবন্দর দিয়ে পালাতে সহযোগিতা করেছেন।