বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার

  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার কী কী কাজ করে থাকেন?

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার মূলত এয়ারক্র্যাফটের সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, মেইন্টেনেন্স, ইঞ্জিন ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে থাকে।

.১. এয়ারক্রাফটের জন্য বিভিন্ন ধরণের হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।

২. বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আপগ্রেড করা।

৩. বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের ইমপ্লিমেন্টেশন স্পিড, পারফর্ম্যান্স ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।

৪. বিভিন্ন এয়ারক্র্যাফটের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।

৫. টেকনিক্যাল এক্সপ্লোয়েশনে দলগতভাবে কাজ করা।

৬. এয়ারক্র্যাফটের টেকনিক্যাল অবস্থার দেখাশোনা করা ও ফ্লাইটের জন্য তৈরি করা।

৭. বিমানের চাকা, ফুয়েল, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন অংশের দেখাশোনা করা ও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা।

৮. এয়ারক্র্যাফটের সকল কম্পিউটার সিস্টেমের দেখাশোনা করা।

৯. ফুয়েল গজ, উইং ফ্ল্যাপ, প্রেসার ইন্ডিকেটরসহ বিভিন্ন মেকানিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের দেখাশোনা করা।

১০. আবহাওয়া সম্পর্কে বিমানচালকদের অবগত করা।

১১. এয়ারক্র্যাফটের অবস্থা, বাতাসের অবস্থা, কেবিন এয়ারফ্লো, ইঞ্জিন পাওয়ার এবং মূল ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেমের মনিটরিং করা।

১২. বিমান চলাকালীন অবস্থায় মেকানিক্যাল, আইটি কিংবা ইন্সট্রুমেন্টাল কোনো সমস্যা হলে সেটার সমাধান করা।

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে  আপনি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, নেটওয়ার্ক ও সিস্টেম ডেভেলপার, হ্যাকার, প্রোগ্রামার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে অ্যারোস্পেস্প ইঞ্জিনিয়ার, এয়ারক্র্যাফট হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অথবা কম্পিউটার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

একজন সিনিয়র লেভেলের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে, মবিলিটি হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেমস অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার আর্কিটেকচার, মাইক্রোচিপ আর্কিটেকচার, সেমিকন্ডাক্টর আর্কিটেকচারের মতো কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।
একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে

১. টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

২. অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে।

৩. আইটির উপর বেশ ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন ধরণের হার্ডওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের উপর দক্ষ হতে হবে।

৫. কম্পিউটার ও আইটি ইথিকসের উপর পারদর্শী হতে হবে।

৬. ক্রিয়েটিভ থিংকিং করার দক্ষতা থাকতে থাকবে।

৭. নিত্যনতুন টেকনোলজির সাথে আপডেটেড থাকতে হবে।

৮. অসাধারণ স্ট্র্যাটেজিক ও প্ল্যানিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৯. ইলেক্ট্রনিক সার্কিট অ্যানালাইসিস, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক্স ইক্যুইপমেন্টের উপর দক্ষ হতে হবে।

১০. কম্পিউটারের উচ্চ ও নিম্ন লেভেলের প্রোগ্রামিং ভাষায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ হতে হবে।

১১. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর ও অন্যান্য মাইক্রোচিপ ইক্যুইপমেন্ট তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে।

১২. যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সম্পৃক্ত অ্যালগরিদম ও ফ্লো চার্ট সম্পর্কে জানতে হবে।

১৩. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের এম্বেডেড সিস্টেমস সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

উপরের দক্ষতাগুলো ছাড়াও, একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের কিছু সাধারণ দক্ষতা থাকা উচিৎ। সেগুলো হচ্ছে,

১. জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

২. বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত সমাধান বের করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

৩. যেকোনো বিষয়ে আস্থা রাখার মতো মন মানসিকতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

৫. অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. যেকোনো বিষয়ে বিচক্ষণতার সাথে নেগোসিয়েশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৭. অসাধারণ ইন্টারপার্সোনাল দক্ষতার অধিকা

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আইটি, কম্পিউটার সায়েন্স, হ্যাকিং, প্রোগ্রামিং অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইনের উপর কমপক্ষে দুই থেকে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যায়। তারপর, হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ফ্লাইট কন্ট্রোলারের কোর্স করলেই একজন প্রফেশনাল অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়।

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে, আপনাকে কম্পিউটার সায়েন্স, হ্যাকিং, হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, প্রোগ্রামিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর কমপক্ষে ২ থেকে ৪ বছরের অর্জন করতে হবে।

একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের বেতন কেমন হতে পারে?

যদি আপনি একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনার  বেতন এন্ট্রি লেভেল ও সিনিয়র লেভেলে ভিন্ন ভিন্ন হবে। এন্ট্রি লেভেলের একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিনিয়র লেভেলের একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ৪০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও, কম্পিউটার ও আইটি খাতের অন্যান্য পদে বেতন স্কেলে তারতম্য দেখা যায়। যেমন: একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামারের বাৎসরিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। আবার, একজন এয়ার কন্ট্রোলারের বাৎসরিক বেতন ১৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একইভাবে, একজন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের বাৎসরিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার, একজন কমার্শিয়াল পাইলটের বাৎসরিক বেতন সর্বনিম্ন ৩০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়াটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে, যদি আপনি আইটি, প্রোগ্রামিং অথবা হ্যাকিংয়ের উপর বেশ কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর যেসব সার্টিফিকেশন কোর্সের গুরুত্ব অনেক বেশি, সেগুলো হচ্ছে,

১. সার্টিফিকেশন ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফান্ডামেন্টালস

২. সার্টিফিকেট ইন সিকুয়েনশিয়াল এন্ড কম্বিনেশনাল লজিক

৩. সার্টিফিকেট ইন এয়ারক্র্যাফট কন্ট্রোল সিস্টেমস

৪. সার্টিফিকেট ইন কম্পিউটার ডিজিটাল সিস্টেমস

৫. সার্টিফিকেশন ইন কম্পিউটার মাইক্রোপ্রসেসর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com