 
							
							 
                    এক সময় পাইলট বা বৈমানিকের কাজকে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে করা হতো। এখনো এই পেশা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা উড়োজাহাজ প্রকৌশল। যা পাইলটের চেয়ে কোনো অংশে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। উপরন্তু পাইলটের চেয়ে বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।
দূর-দূরান্তে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বিমান। একসময় বিমানভ্রমণতে স্রেফ বিলাসিতা মনে করা হতো। কিন্তু এখন বিমানে চড়ার খরচ অনেকেটাই কমেছে। বিশ্বজুড়েই বাড়ছে উড়োজাহাজ বা বিমানের চাহিদা ও ব্যবহার। এসব বিমান তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন পড়ে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।

যদিও দেশে এখনো খুব একটা বাড়েনি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা। এর মূল কারণে এই বিষয়ে সরকারিভাবে পড়ার সুযোগ কম। বেসরকারিভাবে এই বিষয়ে পড়ার খরচ অত্যাধিক। ফলে সাধ থাকলেও অনেকেরই সাধ্য নেই অনেকেরই।

দেশে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)। এছাড়াও কিছু বেসরকারি এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেয়।
বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চার বছরে খরচ পড়বে প্রতিষ্ঠানভেদে আড়াই থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে এ খরচ বাড়তে বা কমতে পারে। প্রতিষ্ঠান ও কোর্স ভেদে পাঠ্য বিষয়েরও কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

একজন উড়োজাহাজ প্রকৌশলী যেকোনো এয়ারলাইনস কোম্পানিতে চাকরির শুরুতেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে এদের বেতন আরও বাড়ে। এছাড়া চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর অন্যান্য সুবিধা যেমন বোনাস, ওভারটাইম, খাবার, চিকিৎসা খরচসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।