লকডাউনে খরচা বাঁচিয়ে বিয়েটা যখন সেরে ফেলেছেন তখন আর ‘চাঁদ দেখা’টাই বা বাকি থাকে কেন! তা এই চাঁদ দেখার মানে যে মধুচন্দ্রিমা তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। হানিমুনের কথা কিছু ভেবেছেন কি? পরিকল্পনা না থাকলে এখনই ভাবতে শুরু করুন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর নিউ নর্মাল লাইফ জারি থাকতে থাকতেই নিয়ম মেনে শীতের মধ্যেই হানিমুনটা সেরে ফেলতে পারেন। কনকনে ঠান্ডাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ছড়িয়ে দিন রোম্যান্সের উষ্ণতা। ভাবছেন তো, একান্তে কোথায় কোথায় ঠড়াবেন সেই উষ্ণতা? কুছ পরোয়া নেহি। দেশের মধ্যে কিছু কুল হানিমুন ডেস্টিনেশনের হদিশ দিচ্ছে টো টো কোম্পানি।
বিয়ের ক্লান্তি এক লহমায় মুছে দিয়ে শরীরকে সতেজ করে তুলবে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ। সিমলা বা মানালির মতো ভিড় এখানে হয় না। আর শীতে এখানে বরফ পাওয়ার সম্ভাবনা একরকম 100 শতাংশ। নিজেদের প্রেমের উষ্ণতা দিয়ে সেই বরফ গলানো যায় কিনা তা একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আর গুলমার্গ যাওয়া মানেই কিন্তু মোটামুটি জম্মু-কাশ্মীরের ট্যুর প্ল্যানটাও ছকে ফেলা। রোম্যান্সের চোটে সেটা মিস করবেন না যেন।
প্রিয় জীবনসঙ্গীকে নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করতে চান? তাহলে যেতে পারেন কেরালার মুন্নার-এ। একে তো এই শৈল শহরটি মানিব্যাগের একেবারে বেস্ট ফ্রেন্ড। তায় আবার এর আকাশে বাতাসে রোম্যান্স আর রোমাঞ্চো। ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং-এর দারুণ ব্যবস্থা আছেই, সঙ্গে রয়েছে নৌকা বিহার এবং চা-বাগানে ডুয়েট গাওয়ার দারুণ সুযোগ। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই শহরের যেদিকেই তাকাবেন দেখবেন শুধু সবুজ আর সবুজ।
মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিতে পারেন রাজস্থানের জয়সলমীরকে। বাঙালির চিরপরিচিত সোনার কেল্লার শহর এটি। তবে কেল্লার রহস্য ভেদ না করে রাজকীয় স্টাইলে মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে পারেন রাজাদের এই শহরে। বর্তমানে হোটেলে পরিণত হওয়া রাজপরিবারের প্রাচীন হাভেলিগুলিতে থাকতে পারেন অনায়াসে। দেখবেন প্রেমটাও আসবে রাজকীয় মেজাজে। রাজবাড়িতে থাকা, নৌকাবিহার, প্রকৃতিদর্শন, সান্ধ্য উৎসব, লোকগীতি আর রাজস্থানী খাবারের মাঝে অন্যমাত্রা পাবে মধুচন্দ্রিমার রং।
প্রেমের জোয়ারে ভাসতে হলে দেশের মধ্যে সেরা ডেস্টিনেশন হল গোয়া। গোয়ার সি বিচের মতো রোম্যান্টিক অথচ উচ্ছ্বল জায়গা আর বুঝি হয় না। আর শীতের সময় গোয়ার রূপ দেখেই প্রেমে পড়ে যান সকলে। হালকা রোদ গায়ে মেখে নিরিবিলিতে একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে সময় কাটানোর আনন্দ আর কিছুতে নেই। সারা বছর তো বটেই শীতের সন্ধ্যায় গোয়া আরও জমকালো হয়ে ওঠে। রাতের দিকে শীতশীতে ব্যাপারটা বাড়লেও, প্রেমের উষ্ণতাও ছড়ায় পাল্লা দিয়ে। ইচ্ছে হলে এখানেও অ্যাডভেঞ্চার করা যায়। তবে সেটা কিন্তু হতে হবে রোম্যান্টিক অ্যাডভেঞ্চার।