সিন্ডিকেটের কারণে জিম্মি সৌদি আরবে যাতায়াতের বিমান টিকিট। শুধু যাওয়ার জন্যই গুনতে হচ্ছে প্রায় দুই লাখ টাকা। অথচ কিছু দিন আগেও যাওয়া-আসার টিকিটে খরচ ছিল ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাবের দাবি, ভুয়া যাত্রী দেখিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে টিকিটের দাম।
সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। এ ছাড়াও ওমরাহ ও হজ করতে যাওয়া যাত্রীসংখ্যাও কম নয়। এত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ফ্লাইটের সংখ্যা না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে দিয়েছে কয়েকটি এয়ারলাইনস।
আটাবের দাবি, আগে সপ্তাহে চলতো ৯৮টি ফ্লাইট। তা পরিকল্পিতভাবে কমিয়ে এখন ৪৬টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সৌদি এয়ারলাইনস আগামী তিন মাস ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটের ভাড়া নির্ধারণ করেছে এক লাখ ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ৮৪ হাজারের মধ্যে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে কোনো সিট খালি নেই। মার্চে এক রুটের ভাড়া প্রায় ৮০ হাজার। এমিরেটস ও কাতার এয়ারলাইন্সেরও ভাড়া লাখ টাকা ছুঁইছুঁই। আর বাজেট এয়ারলাইনসের এয়ার এরাবিয়া ও জাজিরা এয়ারলাইনসের ভাড়াও লাখ টাকা।
বিমান টিকেটিং এজেন্সিজের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ-আটাব-এর শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন ভুয়া যাত্রী দেখিয়ে প্রায় ৬০ হাজার সিট এয়ারলাইনসগুলো ব্লক করে রাখার কারণেই টিকিটের এমন অস্বাভাবিক দাম। এদিকে, এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি ভাড়া সহনীয় রাখতে অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।