অস্ট্রেলিয়ায় বছরে দুইটি সেশন পড়ানো হয়। একটি সেশন ফেব্রুয়ারি ও অন্যটি সেশন জুলাই- এ শুরু হয়।
ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। সাধারণত আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে কোন আবেদন ফি-এর প্রয়োজন পড়ে না।
এই দেশে আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা থেকে শুরু করে সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। আমেরিকা, কানাডার মত অস্ট্রেলিয়ায়ও মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। সাধারণত নিজের অর্থায়নে পড়তে হয়। তবে কোর্স-বেইজড মাস্টার্সেও আপনি পাবেন স্কলারশিপ। অন্যদিকে, থিসিস-বেজড বা রিসার্চ-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে।
এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। এই ব্যাপারে বলে রাখি, প্রোফেসরদের মেইল করার সময় সাবধান থাকবেন। অনেকেই একই মেইল বহু প্রফেসরকে করে। এইভাবে ফান্ডিং পাওয়া বেশ কষ্ট্যসাধ্য আর গদ বাঁধা মেইল আপনার সাথে সাথে আপনার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। প্রফেসর যে শুধু স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন- তা নয়, বরং তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে।
অস্ট্রেলিয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য নিচের ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হয়ঃ
১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট
২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার [প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী]
৩। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র
৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।
৬। IELTS এবং GRE/GMAT [কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ছে বর্তমানে]
৭। Statement of Purpose (SOP)