বড় বড় শহরগুলোতে সাম্প্রতিক কালে বাড়ির দাম কমলেও অস্ট্রেলিয়ার রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে অনেকেরই বেশ আগ্রহ।লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক লুইস ডি কোকের বলেন, অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে অবৈধ অর্থের আকর্ষণীয় বৈশ্বিক গন্তব্য।
যদিও কি পরিমান অবৈধ অর্থ প্রপার্টি মার্কেটে ঢুকছে তা এখনো জানা যায় নি , তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিমান অনেক বেশি এবং তা রিয়েল এস্টেটের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
People look at a auction sign outside a property in Beacon Hill, Sydney, Australia Source: Thorne/Bloomberg via Getty Images
২০০৬ সালের এন্টি – মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য ফাইনান্সিয়াল ওয়াচডগ AUSTRAC এ রিপোর্ট করার নিয়ম আছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের যে আইনি খসড়া যা এখনো পাইপলাইনে আছে, তাতে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এবং আইনজীবীদেরকেও AUSTRAC এ রিপোর্ট করার বাধ্যবাধকতা আছে।
কিন্তু এই দ্বিতীয় পর্যায়টি গত ১৩ বছর ধরে পার্লামেন্টে ঝুলে আছে, বড় দুটি দলের কেউই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে না
অধ্যাপক ডি কোকের বলেন, এ বিষয়ে কিছু করার সময় এসে গেছে।
গ্রিনস সিনেটর পিটার উইশ-উইলসন বলেন, আইন পরিবর্তনের কাজটি অনেক আগেই করার কথা। তিনি সিনেটে আইনটি পাশ করাতে উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন।কিন্তু রিয়েল এস্টেট ইনস্টিটিউট অফ অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট আড্রিয়ান কেলি এই আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন, তার মতে এতে লাল ফিতার দৌরাত্ম আরো বাড়বে।
হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এসবিএস নিউজ কে জানিয়েছে ‘তারা এন্টি – মানি লন্ডারিং আইন উন্নত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; এবং অস্ট্রেলিয়ার ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম অপরাধীদের জন্য সহজ হবে না এটা নিশ্চিত করতে তারা এ শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করে যাচ্ছে’।
লেবারের শ্যাডো ট্রেজারার জিম চ্যালমার্স বলেন লেবার এই আইন বিষয়ে ‘ওয়েট এন্ড সি’ ভূমিকা নেবে।