অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে পাওয়া রহস্যজনক বস্তু আদতে কী? সত্যিই কি চন্দ্রযানের ভাঙা অংশ না অন্যকিছু। এই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে সারা বিশ্ব জুড়েই। তবে এর মধ্যে রহস্যের কোনও কিছু নেই বলে জানিয়ে দিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেই বস্তুটির ভারত যোগ রয়েছে কি না তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয় ইসরোকে। কিন্তু বস্তুটিকে ভালোভাবে খতিয়ে না দেখে সে কথা বলা যাবে না বলেও জানিয়েছে তারা। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, ‘ওই বস্তু আমাদের কি না, তা বিশ্লেষণ না করে বলা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরের বিচে একটি দৈত্যাকার বস্তুর হদিশ মেলে। গ্রিন হেড সৈকতে খুঁজে পাওয়া বস্তুটি আদতে কীসের অংশ তা নিয়ে জল্পনা চরমে ওঠে । বস্তুটির আকৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সেটি অনেকটা জলের ট্যাঙ্কারের মতো গোলাকার জিনিস। এর উপরের দিকটি গম্বুজের মতো। জলে ভেসে আসা বস্তুটির ধাতব শরীর চকচক করছে। রঙের দিক থেকে পিতলের মতো এটি। নীচের অংশ খানিকটা এবড়োখেবড়ো। তবে সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন করে স্থানীয় পুলিশ। অজ্ঞাত ওই বস্তুটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বস্তুটির আসল পরিচয় খুঁজে বার করতে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
তবে জল্পনা, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-৩-এর কোনও অংশ এসে পড়েছিল সমুদ্রে। তার পরে তা সৈকতে ভেসে এসেছে। বিমান বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে থমাস বলেন, বস্তুটি কোনও রকেটের জ্বালানির ট্যাঙ্ক হতে পারে। গত ১২ মাসের মধ্যে হয়তো ভারত মহাসাগরের উপর কোনও রকেট ভেঙে পড়েছিল। তার ফলেই ওই বস্তুটি ভেসে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ সংস্থাও জানিয়েছে, কোনও বিদেশি মহাকাশযান থেকে ওই দৈত্যাকার সিলিন্ডারটি পড়েছে। আবার কারও কারও দাবি, ২০১৪ সালে পশ্চিম কোনও বিষ্ফোরক দৈত্যাকার বোমাও হতে পারে সেটি। হয়তো কোনও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে! আপাতত কোনও সম্ভাবনার কথাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিমান বিশেষজ্ঞ থমাস এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তা হলে ওই বস্তুটি কী? ভারতের তরফে অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে।