1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনে এসেছে পরিবর্তন
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
Uncategorized

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনে এসেছে পরিবর্তন

  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

নতুন অর্থবছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনে এসেছে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। ১ জুলাই থেকে পরিবর্তিত আইনগুলো কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে সুবিধা বাড়ছে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ও বিজনেস ভিসাগুলোয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও ওয়ার্কিং হলিডে ভিসার মেয়াদ ও কর্মঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। ফি বেড়েছে দেশটির নাগরিকত্বের আবেদনে, ২৮৫ অস্ট্রেলীয় ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪৯০ ডলার করা হয়েছে। কোভিড-১৯–এ ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির অভিবাসন খাতের পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দিতে আসছে নতুন এ নীতিমালা।

অস্ট্রেলিয়ার কর্ম ভিসায় যে যে পেশাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেই তালিকার নতুন সংস্করণ এসেছে। প্রায়োরিটি মাইগ্রেশন স্কিলড অকুপেশন লিস্ট (PMSOL) নামের তালিকাটিতে সংকটাপন্ন অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশা, প্রকৌশলী, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শেফসহ মোট ২২টি পেশাকে যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে অ্যাকাউন্ট্যান্ট ধরনের সব পেশায় কম ভিসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল সরকার। তবে তালিকার নতুন সংস্করণে থাকা সব পেশাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া করবে অভিবাসন বিভাগ। বর্তমানে যাঁদের এ তালিকার পেশায় ভিসা আবেদন করা আছে, তাঁদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে আবেদনকৃত ভিসার অবস্থার কথা জানতে চেয়ে অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ না করার পরামর্শও রয়েছে।

নতুন নীতিমালায় অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশি ঘণ্টা কাজের সুযোগের কথা নিশ্চিত করেছে অভিবাসন বিভাগ। আগে একজন বিদেশি শিক্ষার্থীর ১৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা বৈধ কাজের অনুমতি ছিল। তবে করোনা সংকটের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনে এ সীমিত কর্মঘণ্টার শর্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী চাইলে এর বেশি সময়ও কাজ করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীকে জরুরি সেবা এবং পর্যটন খাতে কর্মরত হতে হবে।

একই ধরনের পেশায় থাকলে বেশি সময় কাজের সুযোগ পাবেন ওয়ার্কিং হলিডে ভিসাধারীরা। সাধারণ নিয়মে এ ভিসাধারীদের জন্য এক কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি কাজ করার নিয়ম ছিল না। নতুন নীতিমালায় এ নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পরিচর্যা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং শিশুযত্ন পেশায় কাজ করলে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েও নিতে যোগ্য বিবেচিত হবেন। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ওয়ার্কিং হলিডে ভিসাধারী রয়েছেন।

নতুন নীতিমালায় সুযোগ বাড়বে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা, তথা অতিদক্ষ পেশাদারদের জন্য। দেশটিতে অভিবাসন গ্রহণের জন্য নতুন দক্ষ পেশাদার প্রায় অর্ধেকই দেওয়া হবে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদনকারীদের। ২০২১-২২ বছরে প্রায় ১৫ হাজার ভিসা দেওয়া হবে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইনডিপেনডেন্ট (জিটিআই) ভিসায়। ভিসায় আবেদনের সংখ্যা একইভাবে বাড়ছে উদ্ভাবনী ব্যবসায়ীদের জন্য।

সাবক্লাস ১৮৮ বিজনেস ভিসায় এ বছর দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫০০টি ভিসা মঞ্জুর করা হবে। দক্ষ পেশাদারদের কর্মসংস্থান তৈরিতে বিনিয়োগ আর স্পনসর ভিসার সুযোগ বৃদ্ধিতে ভিসার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে আবেদনের সময় প্রমাণাদি ও কাগজপত্র সঠিক এবং পরিপূর্ণভাবে জমা দেওয়ার পরামর্শ থাকছে। কারণ, কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না চেয়েই ভিসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।

কাউসার খান, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া :

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com