করোনা মহামারির পরেও অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি পুরোপুরি সচল হতে পারেনি, যার ফলে দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। এতে বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা খণ্ডকালীন চাকরি করে টিউশন ফি জোগাড়ের আশা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি হলেও, গত কয়েক বছরে তাদের নাগরিকদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন বজায় রাখতে পারছে না। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটি বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা জীবনযাত্রার খরচ বাড়িয়েছে।
এছাড়া, দেশটির অর্থনীতি যেহেতু অনেকটা পর্যটননির্ভর, তাই করোনা পরবর্তী সময়ে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু এখনও ২০১৯ সালের তুলনায় তা কম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি একটি বড় আয়ের উৎস হলেও, বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা এখন তাদের দৈনন্দিন খরচ মেটাতেও সংগ্রাম করছেন।
প্রথম দিকে, অনেক বাংলাদেশি পরিবার সিডনির উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় থেকে বাঁচতে মেলবোর্নসহ অন্যান্য শহরে চলে যেত। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠায়, শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ দেখতে শুরু করেছেন। গত বছর, দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে অনেক শহর বিশ্বে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যে, অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের জন্য বাড়ি-গাড়ির ঋণের সুদও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, ২০২৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় এবং প্রবাসীরা।