সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন

অস্ট্রেলিয়াতে ইমিগ্রেশনের নতুন সম্ভাবনা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩

অস্ট্রেলিয়াতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতার ভিত্তিতে সারা পৃথিবী থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদেরকে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। এই স্থায়ী বাসিন্দারাই পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকে পরিণত হন।

বাংলাদেশের অসংখ্য উদ্যমী তরুণ-তরুণী অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের চেষ্টা করেন। এদেশের স্থায়ী বাসিন্দা এবং নাগরিকদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে তা যে কোন পরিবারের জন্য একটি সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করে।

অনেক সময় দেখা যায় প্রচুর ইচ্ছা এবং আগ্রহ থাকার পরও অনেকেই মাইগ্রেশনের এই পথে এগুতে পারেন না কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য এবং যথাযথ গাইডলাইনের অভাবে। অথচ বাস্তবতা হলো, ইন্টারনেটের এ যুগে তথ্যের মহাসাগর সবার জন্য উন্মুক্ত। সদিচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকলে প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য যে কোন মানুষের হাতের নাগালেই রয়েছে।

এক্ষেত্রে বিদেশে অভিবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ করতে গেলে, বরঞ্চ বিদেশে অভিবাসনের বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা করতে গেলেই, সর্বাগ্রে প্রয়োজন হলো কাজ কিংবা পেশা সম্পর্কে আমাদের চিরপরিচিত মানসিকতার গন্ডি থেকে বেরুনোর চেষ্টা করা। এটি কেবল অস্ট্রেলিয়া কিংবা পশ্চিমা কোন দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, বরং পৃথিবীর যে কোন দেশে যে কোন সমাজেই প্রবাসীর জীবন বেছে নেয়ার ইচ্ছা থাকলে এই বিষয়টি জরুরী।

বাংলাদেশের সমাজে পেশা কিংবা জীবিকা সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব কিছু ধারণা বিদ্যমান। পড়ালেখা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সনদ নিয়ে তারপর সবাই কাজ খুঁজতে শুরু করে এবং সে প্রত্যাশিত কাজ বা পেশা সম্পর্কে আমাদের পুরনো গৎবাঁধা প্রত্যাশাগুলো আমাদের চিন্তাজগত বিস্তার করে থাকে। আমরা মনে করি অফিস-আদালতে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে কাজ করা ছাড়া আমাদের সামাজিক গন্ডিতে স্বাভাবিক ও মানবিক সম্মান পাওয়া সম্ভব নয়।

অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি সবসময়েই ছোট বড় নানারকম কাজ করে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্মের বড় একটি অংশ এমনতর কাজের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। এভাবে প্রায় প্রতিটি মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবান অভিজ্ঞতাও অর্জন করে।

তাছাড়া এমন অনেক পেশা বা কাজই আছে যেগুলোকে বাংলাদেশে কম যোগ্য মানুষদের পেশা হিসেবে মনে করা হয় অথচ পশ্চিমা দেশগুলোতে সেসব পেশার মানুষের বেশি মর্যাদা দেয়া হয়। উপরন্তু গড়পড়তায়, যে কোন পেশার মানুষকেই সাধারণত এসব দেশের সমাজে অবমূল্যয়ন করা হয় না। বরং পেশা-যোগ্যতা-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই পরিশ্রম করে সম্মানজনক উপার্জনের মাধ্যমে সমাজে অন্য সবার মতোই মাথা উঁচু করে স্বাভাবিকভাবে স্থান করে নেয়।

এ ধরণের কাজের একটি বড় উদাহরণ হতে পারে নার্সিং। আমাদের দেশের চিরপরিচিত সামাজিক মানসিকতায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রাণপাত চেষ্টা করে কিন্তু সেবক কিংবা সেবিকা হওয়ার কল্পনাও করে না।

অন্যদিকে পৃথিবীর অনেক দেশে নার্সিংকে অত্যন্ত সম্মানিত একটি পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অস্ট্রেলিয়াতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক সময় নার্সদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেয়া হয় যদি যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বয়সসীমা, ইংলিশে দক্ষতা এসব প্রয়োজনীয় শর্তাবলী কেউ যথাযথভাবে পূরণ করতে পারে। এধরণের অনেক পেশার ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় পেশাজীবি জীবনযাপনের অপরিসীম সম্ভাবনা থাকলেও দেখা যায় আমাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতার ফলে তা আর হয়ে উঠে না।

বাংলাদেশের শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ একজন নার্স হয়তো ইংলিশ ভাষার দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উপযুক্ত স্কোর অর্জন করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন না। এ ধরণের বিভিন্ন ফাকফোকড়ের ফলেই অস্ট্রেলিয়া কিংবা কানাডার মতো দেশগুলোতে পেশাজীবী মানুষদের অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রচুর পেছনে পড়ে আছে।

নার্সিং এর মতোই বিশেষায়িত আরেকটি কাজ হলো এজড কেয়ার, অর্থ্যাৎ বয়স্ক মানুষদের তত্ত্বাবধান কিংবা বয়স্কদের সেবা করার কাজ।

বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনার কাজটিকে অস্ট্রেলিয়ায় রীতিমতো সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে পড়ালেখা করিয়ে শেখানো হয়। এ ধরণের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেই একজন মানুষ বয়স্কদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কিংবা বৃদ্ধাশ্রম বা রিটায়ারমেন্ট হোম অথবা এমনকি তাদের নিজ বাড়িতে গিয়েও দেখাশোনা করেন এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার নানা প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে থাকেন।

বেতন কিংবা উপার্জনের দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি অত্যন্ত চমৎকার একটি কাজ। তবে নিঃসন্দেহে এ কাজটি করতে গেলে যথেষ্ট ধৈর্য্য এবং সেবার মনোবৃত্তি দরকার। বিশেষ করে যেসব বয়স্ক মানুষদের ডিমেনশিয়া অর্থ্যাৎ স্মৃতিভ্রষ্টতাজনিত অসুস্থতা রয়েছে তাদের নিয়মিত ঔষধ খাওয়ানো থেকে দৈনন্দিন নানা কাজে তত্ত্বাবধান করা অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ এবং একই সাথে ধৈর্য্যের একটি কাজ।

মাল্টিকালচারাল সমাজের দেশ অস্ট্রেলিয়াতে পৃথিবীর নানা দেশ থেকে মানুষরা এসে বসত করেছে। ইমিগ্রান্টদের মাঝে অনেকেই এখন কর্মজীবন শেষ করে অবসরের পর বার্ধ্যক্যে উপনীত হয়েছে। তাদের অনেকের জন্য এখন বাস্তব কারণেই তাদের ভাষাভাষী তত্ত্বাবধানকারীর দরকার হয়ে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন সংক্রান্ত মন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক সময় বয়স্ক মানুষরা স্মৃতিভ্রষ্টতাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে তাদের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা কিংবা ইংলিশে হয়তো কথা বলতে ভুলে যান। এমন ধরণের মানুষদের দৈনন্দিন সেবার জন্য দ্বিভাষী তত্ত্বাবধানকারীর প্রয়োজনীয়তা এদেশে এখন বাস্তব একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ কারণেই সরকার এখন এজড কেয়ার সেক্টরে কাজ করার যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদেরকে অন্য দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিয়ে আসার নতুন সুযোগ উন্মোচন করেছে। চায়না, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফিলিপিন এসব দেশের বয়স্ক-সেবা পেশাজীবীদের জন্য এ খাতটি প্রচুর কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ কিংবা ভারত থেকেও এ কাজের জন্য মানুষ আসার প্রয়োজন এবং সুযোগ হতে পারে।

নতুন প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে, বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে টেম্পরারী স্কিল শর্টেজ ভিসা অথবা এম্প্লয়ার নমিনেশন স্কিম ভিসার অধীনে পেশাজীবী বয়স্ক তত্ত্বাবধানকারী মানুষদেরকে এ দেশে আনার জন্য স্পন্সর করতে পারবে। তবে তার জন্য তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, যে সব যোগ্যতার কারণে অন্য দেশে থেকে ভিসা দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক আনার জন্য স্পন্সর করা হচ্ছে সে সব নির্দিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে স্থানীয়ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

বয়স্কদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান সরকার সম্প্রতি ধর্মীয় যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যও নতুন ভিসার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। অস্ট্রেলিয়াতে পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের মানুষরাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সম্প্রদায়কে সরকার নানারকম সহায়তা এবং আনকূল্যও প্রদান করে থাকে। সমাজে নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার এদেশে একটি স্বীকৃত আইনী অধিকার।

যে কোন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ, মন্দির, চার্চ বা সিনাগগ অথবা গুরুদুয়ারা এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরকে রিলিজিয়াস মিনিস্টার পেশার আওতায় অস্ট্রেলিয়াতে আসার সুযোগ দেয়া হয়। নতুন ভিসা পদ্ধতিতে রিলিজিয়াস মিনিস্টার পদের পাশাপাশি রিলিজিয়াস এসিস্টেন্ট নামের নতুন আরেকটি কাজের সূচনা করা হয়েছে।

রিলিজিয়াস মিনিষ্টার হিসেবে কাজ করতে হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদের জন্য যোগ্য কাউকে আনতে হতো। এখন থেকে এর পাশাপাশি অন্যান্য পদের জন্যও প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে ধর্মীয় সহায়তাকারী বা রিলিজিয়াস এসিস্টেন্ট আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে বলা যায়, একটি মসজিদ যদি প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে পারে তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় একজন যোগ্য ব্যক্তিকে সে মসজিদের ইমাম হিসেবে আনার জন্য স্পন্সর করতে পারে। নতুন নিয়মের ফলে যদি যথাযথ প্রয়োজনীয়তা থাকে তাহলে সে মসজিদে ইমামের পাশাপাশি মুয়াজ্জিন কিংবা অন্যান্য আনুষঙ্গিক ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের আসার সুযোগ হবে। একই কথা যে কোন চার্চ, সিনাগগ, মন্দির কিংবা অন্যান্য সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।

অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কিংবা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কাজের নিয়োজিত মানুষদের জন্য এ ভিসা প্রযোজ্য হবে না। বরং ঐ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধর্মীয় দায়িত্ব এবং ধর্মসংক্রান্ত কাজ যিনি করবেন তিনিই এ ভিসার অধীনে অস্ট্রেলিয়ায় আসার সুযোগ পাবেন। এ কাজগুলো হতে পারে আধ্যাত্বিক নেতৃত্বপ্রদান, প্রার্থনা পরিচালনা, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রদান, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন ইত্যাদি।

সরকারী হিসাব মতে, অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে ২৩ হাজার মানুষ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের কাজে নিয়োজিত আছেন। কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নানা সংস্কৃতির ও নানা ধর্মের মানুষদের ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্য মানুষদেরকে স্থানীয়ভাবে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ানোর ফলে এই চাহিদা পূরণের জন্যই সরকার নতুন এই ভিসার সুযোগ উন্মোচন করেছে।

এসব পেশার জন্য সরকার নির্ধারিত নানা শর্তাবলী প্রযোজ্য রয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় কাজের জন্য আসা মানুষদের ক্ষেত্রে বয়স এবং বেতন সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী অস্ট্রেলিয়ান সরকার ঠিক করে দিয়েছে দিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজনীয় হলেও ইংলিশ ভাষার পরীক্ষা বা আইইএলটিএস এর প্রয়োজনীয় স্কোর অনেক ক্ষেত্রেই কিছুটা শিথিল থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মীয় কাজের জন্য মানুষদের বয়সসীমা অনেক বেশিও গ্রহণযোগ্য হয়।

স্পন্সরশীপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আর্থিক সক্ষমতাসহ নানা যোগ্যতা অর্জনের প্রমাণ দিতে হয়। এ সকল শর্ত পূরণসাপেক্ষে মার্চ ২০১৯ থেকেই বয়স্ক মানুষদের তত্ত্বাবধানকারী এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকার ভিসা দেয়া শুরু করেছে।

সর্বোপরি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এসব ভিসায় আগত মানুষরা পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে এদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার এবং নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ পাবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com