1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
অভিবাসী বহিষ্কার অভিযানে পর্তুগাল
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারের আকাশে রোমাঞ্চকর প্যারাসেইলিং বিয়ের টোপ দিয়ে পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মহিলাদের যৌন ব্যবসায় নামাচ্ছেন চিনা পুরুষেরা যুক্তরাষ্ট্রে পুরো স্কলারশিপ পেয়েও ভিসা আবেদন নিয়ে অনিশ্চয়তায় স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর বিমানে চালু হচ্ছে ‘স্ট্যান্ডিং অনলি’ আসন, কমবে খরচ নেপালের দরবার স্কয়ার যেন এক জীবন্ত জাদুঘর দুবাইয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু, প্রতিদিন ১০ হাজার আবেদন গ্রহণ পাইলটের বুদ্ধিমত্তায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ১৮০ বিমানযাত্রী বেতন বছরে ৩০ কোটির বেশি, দুনিয়ায় সবচেয়ে সুখের চাকরি, তবুও কেউ করতে রাজি নয় হাডসন ইয়ার্ডসে গ্রীষ্মে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড় কেন দেশ ছাড়ে মার্কিনরা, কোন দেশে বেশি স্থায়ী হয়

অভিবাসী বহিষ্কার অভিযানে পর্তুগাল

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫

অনুমোদন ছাড়া বসবাসরত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চলতি সপ্তাহে বড় পরিসরে অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল৷ এই অভিযান আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷

সোমবার (৫ মে) অনিয়মিত অভিবাসীদের বহিষ্কারে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগিজ সরকার৷ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পর্তুগাল ছেড়ে যেতে প্রথম দফায় সাড়ে চার হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে নোটিশ দেয়া হচ্ছে৷ দেশটিতে বসবাসের অনুমতি পেতে ব্যর্থ হওয়া অন্তত ১৮ হাজার অভিবাসীকে পর্যায়ক্রমে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানিয়েছে সরকার৷

সরকারি সূত্র অনুসারে, অভিবাসীরা মূলত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিক৷ এসব অভিবাসীদের বহিষ্কার বাধ্যতামূলক হওয়ার আগে ২০ দিন সময় দেওয়া হবে৷ এই সময়ের মধ্যে তারা আপিলের সুযোগ পাবেন৷

যারা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে এবং অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে নির্ধারিত আটককেন্দ্রে রাখা হতে পারে৷ পর্তুগালে আটককেন্দ্রগুলো সিআইটি নামে পরিচিত৷

জনহিতকর পদক্ষেপ বলছেন বিরোধীরা

বর্তমানে পর্তুগালের পোর্তোর কাছে শুধু একটি কার্যকর প্রত্যাবাসন কেন্দ্র রয়েছে৷ ন্যাশনাল রিকভারি অ্যান্ড রিজিলিয়্যান্স প্ল্যান তহবিলের মাধ্যমে সেখানে আরো দুটি কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে৷ তবে ২০২৬ সালের আগে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে না৷

এদিকে, সরকার ঘোষিত পদক্ষেপটি একটি বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দি সোসা বলেছেন অভিবাসীদের ছাড়া পর্তুগিজ অর্থনীতি ভেঙে পড়বে৷

সরকারবিরোধী বামপন্থিরা ১৮ মে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে জনহিতকর উল্লেখ করে প্রকাশ্যে নিন্দা ও অভিযোগ করেছেন৷

বিরোধী সমাজতান্ত্রিক নেতা পেদ্রো নুনো সান্তোস বলেছেন, পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো ‘‘নির্বাচনি প্রচারে অভিবাসনকে ব্যবহার করছেন, যাতে সরকারের ব্যর্থতাগুলো যাতে চাপা পড়ে যায়৷’’

আট বছরে বিদেশির সংখ্যা চারগুণ বেড়েছে

অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে ভিন্ন কথা৷ তাদের দাবি, বিদেশিদের বসবাসের অনুমতি সংক্রান্ত পরিষেবা সার্ভিস ফর ফরেইনার্স অ্যান্ড বর্ডার্স (এসইএফ) বন্ধ করে দিয়েছে সরকার৷ পরিবর্তে নতুন করে এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম (এইআইএমএ) চালু করা হয়েছে৷ কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষের দেরির কারণে অনেক বিদেশি নাগরিক দেশটিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন৷

২০২৩ সালে পর্তুগালে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে গেলে জটিল এই পদক্ষেপটি নিয়েছিল সরকার৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটিতে বিদেশির সংখ্যা চারগুণ বেড়েছে৷

সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসীকে বহিষ্কারের আদেশ জারি করা হয়েছিল৷ ওই সময় চার হাজার আটশো জনকে পর্তুগাল ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল৷ আর চলতি সপ্তাহে সাড়ে চার হাজার বিদেশিকে দেশ ছাড়ার নোটিশ দেয়া হচ্ছে৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com