রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

অভিবাসীদের ঢল, জনসংখ্যা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪

অভিবাসীদের পৌঁছানোর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে মোট জনসংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ব্যাপক বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ইইউয়ের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এই চিত্র দেখা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে ২০২০ ও ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে জনসংখ্যা কমেছিল। কিন্তু ২৭ দেশের এই জোটের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মোট জনসংখ্যা আগের বছরের ৪৪৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৪৯ দশমিক ২ মিলিয়নে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যানবিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মোট অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের মধ্যে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত অভিবাসীরাও রয়েছেন।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ব্লকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই পরিসংখ্যানে ইউরোপের দোরগোড়ায় জেঁকে বসা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ইইউর ওপর তৈরি হওয়া ক্রমবর্ধমান চাপ ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হুমকিও প্রতিফলিত হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বজুড়ে তৈরি শরণার্থী সংকটকালীনের তুলনায় সর্বোচ্চ। ওই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই ছিল আশ্রয়প্রার্থীদের এক নম্বর গন্তব্য। আশ্রয়ের আবেদনে সবার শীর্ষে আছেন সিরীয় নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই শরণার্থী সংস্থার প্রতিবেদনে আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের প্রবণতাও তুলে ধরা হয়। ২০২৩ সালের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ২০১৫-১৬ সালের তুলনায় কম হলেও ইইউর দোরগোড়ায় শুরু হওয়া সহিংসতা এবং যুদ্ধের প্রভাবে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইইউএএর পরিসংখ্যানে বলা হয়, ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের আশ্রয়ের এই আবেদনের মাঝেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৪৪ লাখ ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের ইইউ ব্লকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার দরকার হয় না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com