শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে এখনও পছন্দের শীর্ষে জার্মানি

  • আপডেট সময় শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে এখনও এক নম্বর পছন্দের দেশ জার্মানি। মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২০ অনুযায়ী, ইউরোপে অভিবাসীদের পছন্দের গন্তব্য দেশের তালিকায় সবার ওপরে জার্মানির নামটি উঠে এসেছে। গত বুধবার জার্মান সরকার এ তথ্য প্রকাশ করে।

যদিও ২০১৯ সালের তুলনায় দেশটিতে অভিবাসনের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২০ অনুযায়ী, জার্মানিতে আসা অভিবাসীদের মধ্যে প্রথম ১০টি দেশের আটটিই ছিল ইউরোপের অন্যান্য দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে রোমানিয়া থেকে ১৫ দশমিক সাত শতাংশ। রোমানিয়ার পর তালিকার শীর্ষে রয়েছে পোল্যান্ড আট দশমিক সাত শতাংশ ও বুলগেরিয়া ছয় শতাংশ।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় কঠোর বিধিনিষেধ স্বত্বেও এক দশমিক ১৯ মিলিয়ন মানুষ ২০২০ সালে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে। প্রতিবেদনটি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমুহের মধ্যে অভিবাসনের হার ক্রমাগত বেড়েছে। যদিও মানবিক ভিত্তিতে অভিবাসন আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পাচ্ছে।

২০২০ সালে জার্মানিতে মাত্র এক লাখ ২২ হাজার ১৭০টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। সম্ভবত বিশ্বজুড়ে চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ প্রভাব পড়েছে।

অবশ্য ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আশ্রয় আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে উল্লেখ করেছে ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজিস (বিএএমএফ)। এ সময় এক লাখ ৯০ হাজার ৮১৬টি আশ্রয় আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এর ফলে অভিবাসনের নিম্নগামী প্রবণতা কমতে শুরু করেছে বলে ধরে নেয়া যায়।

২০২১ সালে ইউরোপের বাইরে থেকে আসা অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুদের মূল দেশগুলি একই রয়েছে। বিএএমএফ এর প্রতিবেদন অনুসারে সিরিয়ার নাগরিকদের কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার, আফগানদের কাছ থেকে ৩২ হাজার এবং ইরাকিদের কাছ থেকে ১৭ হাজার আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে।

নতুন সরকার কর্মসংস্থানভিত্তিক অভিবাসনে মনোযোগ দিচ্ছে

জার্মানিতে অভিবাসন প্রবণতার অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ ধরণগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমন, স্বীকৃত শরণার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন এবং কর্মসংস্থানভিত্তিক অভিবাসন। লাভজনক কর্মসংস্থান খোঁজাার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে প্রায় ২৯ হাজার ৭৪৭ জন তৃতীয় দেশের নাগরিক জার্মানিতে প্রবেশ করেছে।

যাহোক, তৃতীয় দেশ থেকে জার্মানিতে আসা দক্ষ কর্মীদের সংখ্যা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রভাবিত হয়েছিল। ধরে নেয়া যায়, মহামারি সম্পর্কিত বিধিনিষেধ ও চ্যালেঞ্জ না থাকলে আরো বেশি সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী জার্মানিতে প্রবেশ করতো।

অভিবাসনের ইতিহাসসম্বলিত জার্মান নাগরিক

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মানির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের বেশি মানুষের এখন অভিবাসনের ইতিহাস রয়েছে। তবে অর্ধেকের বেশি জার্মান নাগরিক জার্মানিতে অভিবাসী পিতামাতার কাছে জন্মগ্রহণ করেছে বা জার্মান হিসেবে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছে। প্রতিবেদনটি আরো বলছে, জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে অভিবাসী পরিচয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com