সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

অভিবাসন ইস্যু নিয়ে কি কঠোর অবস্থানেই থাকবেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

মার্কিন রাজনীতির আলোচিত নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুতে বরাবরই কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। প্রথম মেয়াদে তার নেতৃত্বে দক্ষিণ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, শরণার্থী প্রবেশে কড়াকড়ি এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় এসে কি একই কঠোর নীতি অনুসরণ করবেন? নাকি অভিবাসন ইস্যুতে তার প্রশাসন নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে? বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর পরিবর্তন আনবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নিয়ে কড়া অবস্থান নেন। তার প্রশাসন দক্ষিণ সীমান্তে “মেক্সিকো দেয়াল” নির্মাণ শুরু করে, যা ছিল তাঁর নির্বাচনি প্রচারণার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করতে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করেন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেন।

ট্রাম্পের শাসনামলে অভিবাসী পরিবারগুলোকে আলাদা করার নীতি (ফ্যামিলি সেপারেশন পলিসি) বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়ে। এ ছাড়া, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তার প্রশাসনের অন্যতম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ইস্যু একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীর প্রবেশ এবং শরণার্থী ইস্যু নিয়ে বাইডেন প্রশাসন চাপের মুখে ছিল। ট্রাম্প তার প্রচারণায় উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোরতা আনবেন।

ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, “মেক্সিকো দেয়াল” সম্পন্ন করা তার অন্যতম অগ্রাধিকার হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সহায়ক হবে।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিমালা নিয়ে সমালোচনা বরাবরই তীব্র ছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার নীতিগুলোকে অমানবিক এবং বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে বরাবরই। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোতে অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কঠোর অভিবাসন নীতি শ্রম বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং শ্রমিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে।

তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা তার অভিবাসন নীতিমালাকে প্রশংসা করে বলেছেন, এটি দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত করতে সহায়ক। তারা মনে করছেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের কৌশল কার্যকর এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জরুরি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুতে বরাবরের মতোই কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার নীতিমালার প্রভাব কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক হবে, তা নির্ভর করবে এর বাস্তবায়ন পদ্ধতির ওপর।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com