প্রবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে কুয়েত। এরই অংশ হিসেবে অবৈধ আবাসনে বসবাসকারী প্রবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে দেশটি। উপসাগরীয় এই দেশটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের বিতাড়িত করবে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনি মানদণ্ড পূরণ করে না, এমন আবাসনে বসবাসকারী প্রবাসীদের তিন-চার দিনের মধ্যে বিতাড়িত করা হবে বলে কুয়েত সরকার ঘোষণা করেছে। মূলত আবাসন প্রবিধান মেনে চলা এবং সব বাসিন্দার জন্য নিরাপদ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই শ্রমিকদের জন্য কোনো নতুন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে না। কারণ বর্তমান আবাসন অবকাঠামোগুলোই বিদ্যমান চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার বিশ্বাস করে, সবশেষ পদক্ষেপের ফলে বাস্তুচ্যুত যে কোনো ব্যক্তির থাকার জন্য বর্তমান অবকাঠামোই পর্যাপ্ত।
এর আগে গত ১২ জুন কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলের মানগাফ এলাকায় শর্ট সার্কিট থেকে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জন প্রবাসী মারা যান। আহত হন প্রায় অর্ধশত। নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন ছিলেন ভারতের নাগরিক। তিন জন ছিলেন ফিলিপাইনের নাগরিক। এছাড়া একজন অজ্ঞাত নাগরিকও ঐ ঘটনায় নিহত হন। সাততলা ভবনের নিচতলায় গার্ড রুমে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ও প্রাণহানির ঐ ঘটনা ঘটে। গালফ নিউজ বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমদি গভর্নরেটের সাম্প্রতিক বিধ্বংসী সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রবাসীসহ সবার নিরাপদ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার জন্য সবশেষ এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
ভবনটিতে ১৯৬ জন অভিবাসী শ্রমিক ছিলেন, যাদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় একজন কুয়েতি নাগরিক, তিন জন ভারতীয় নাগরিক এবং চার মিশরীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহের নির্দেশ অনুযায়ী ঐ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ক্ষতিপূরণের অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের নিজ নিজ দূতাবাসে মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।