জরিপে দেখা গেছে, কোনো অপরাধী তৎপরতার শিকার হতে পারেন এম আশঙ্কা ভীষণ রকম কাজ করে ২১ শতাংশ উত্তরদাতার মনে। আর ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন একটা আশঙ্কা সারাক্ষণই তাদের ঘিরে থাকে।
অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫১ শতাংশ বলেছেন, তারা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তিত থাকে। স্কুল, শপিং স্টোর এমনকি প্রার্থণা কেন্দ্রেও তাদের একই আশঙ্কা কাজ করে।
উত্তরদাতাদের ৩৬ শতাংশ বলেছেন, অদ্ভুত আচরণকারীদের কারো কারো খপ্পড়ে তারা পড়েছেন গত ১ বছরে।
তবে ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাদের মনে কোন আশঙ্কাই কাজ করে না। ৫৮ শতাংশ অবশ্য মত দিয়েছেন তাদের মনে অতীতের চেয়ে এখন আতঙ্ক বাড়ে নি।
সিয়েনা কলেজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটেরর পরিচালক ডন লেভি বলেন, অপরাধ আর কেবল দূরের বিষয় নয়, যা কেবল অন্যের ক্ষেত্রই ঘটবে, নিজে কিংবা নিজের পরিবারের কেউই হয়ে যেতে পারে এই অপরাধের শিকার, ঠিক এমনটাই ভাবছেন অধিকাংশ উত্তরদাতা।
জরিপে আরও দেখানো হয়েছে, গত ১ বছরে উত্তরদাতাদের ৪০ শতাংশই অন্তত ১০০ ডলার ব্যয় করে এমন কিছু উপকরণ কিনেছেন যা তাদের নিরাপত্তায় কাজ লাগতে পারে। আর ১২ শতাংশ উত্তরদাতা এই খাতে ব্যয় করেছে ৫০০ ডলারের বেশি।
এক তৃতীয়াংশ (৩৪%) জানিয়েছেন তারা বাড়িতে সিকিউরিটি ক্যামেরা বসিয়েছেন। মোশন সেন্সরসহ সিকিউরিটি লাইট বসিয়েছেন ৩২ % আর ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন তাদের বাড়িতে পেশাদার নিরাপত্তা সিস্টেম বসানো রয়েছে।
জরিপে আরও উঠে এসেছে:
– গত ১ বছরে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন (৯%) নিউইয়র্কার কোনো না কোনো অপরাধের শিকার হয়েছেন। নগর অধিবাসীদের মধ্যে এই হার ১৬%
– ৯ শতাংশ নিউইয়র্ক অধিবাসী প্রতারণার শিকআর হয়েছেন, সিটি পর্যায়ে এর হারও ১৬%।
– ৪০% নিউইয়র্কার চোখের সামনে অপরাধ ঘটতে দেখে। এবং বলেছেন, কমিউনিটির এটাই সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয়।