সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে অনুমতি ছাড়া হজ পালনে বিরত থাকতে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং হজযাত্রীদের কল্যাণ বিবেচনায় এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় কেউ যেন মক্কা কিংবা অন্যান্য পবিত্র স্থানে অবস্থান না করেন, সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে হজ পারমিটবিহীন ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা, পরিবহন, আবাসন কিংবা হজ এলাকাগুলোতে প্রবেশে সহায়তা করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সৌদি সরকার ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল করতে নতুন বিধিমালা কার্যকর করেছে। এ অনুযায়ী, শুধু বৈধ হজ পারমিট, ইকামা (আবাসন অনুমতি) এবং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অনুমতিপত্র থাকলেই মক্কায় প্রবেশের সুযোগ থাকবে। এই বিধিনিষেধ ২৯ এপ্রিল (১ জিলকদ) থেকে ১০ জুন (১৪ জিলহজ) পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে ২০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা এবং সহায়তাকারীদের ক্ষেত্রে ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা ও যানবাহন বাজেয়াপ্তের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি, বিদেশিদের ক্ষেত্রে হজ শেষে বহিষ্কার ও ১০ বছরের সৌদি আরবে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞাও জারি হতে পারে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “সৌদি আইন মেনে চলা শুধুমাত্র হজ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, বরং দুই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে কর্মরত এবং সেখান থেকেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। এই সম্পর্ক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।”
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক জানান, হজ একটি আন্তর্জাতিক, দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার জন্য সকল অংশীজনের সহযোগিতা অপরিহার্য। সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সফল হজ আয়োজন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
বাংলাদেশ জার্নাল