অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পাবার জন্য নির্দিষ্ট কোন উপায় নেই। কিন্তু কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি থাকলে আপনি ব্যবসায়িক লাভের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন। সে বিষয়গুলো নিয়ে জেনে নেয়া যাক।
ঠিক কোন খাত নিয়ে ব্যবসা করলে আপনি আপনার পুঁজির বিপরীতে সবচেয়ে বেশি লাভ অর্জন করতে পারবেন, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। আবার অনলাইনে কোন জিনিস কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি, তা পরীক্ষা করতে নিজের বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের মতামত নিতে পারেন। এভাবে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সম্ভাব্য চাহিদা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আর ট্রেড লাইসেন্স করা না থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া নিজের ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন না। তাই শুরুতে রেজিস্ট্রেশন আর ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করে ফেলুন।
অনেকে মনে করেন যে, অনলাইনে ব্যবসা করতে গেলে ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক। এ ধারণা ঠিক নয়। আপনি চাইলে গুগল মাই বিজনেসে নিজের ব্যবসাকে খুব সহজে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে করে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে সহজে জানতে পারবেন। শুধু ফেসবুক পেইজ আর গ্রুপের মাধ্যমেও অনলাইন ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে পারেন আপনি।
আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবার পর আপনি নিজের ই-কমার্স সাইট চালু করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। তবে এর জন্য যথেষ্ট সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে – এ ব্যাপারটি খেয়ালে রাখবেন।
অনলাইন ব্যবসায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। আপনি যদি বিকাশের মতো সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে চান, তাহলে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা শ্রেয়। এর জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে একবার মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট পেয়ে গেলে আপনি বহু সংখ্যক কাস্টমারদের কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
কাস্টমারদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য আর নতুন কাস্টমার খোঁজার জন্য নিয়মিত মার্কেটিং করা দরকার। এটি গতানুগতিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হতে পারে, আবার ফেসবুকের মাধ্যমেও হতে পারে। তাই মার্কেটিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ রাখুন। বাজেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাম্পেইন চালান।
ক্রেতাদের কাছে পণ্য ঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। এক্ষেত্রে আপনি কোন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে পারেন। আবার সামর্থ্য থাকলে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সার্ভিস দিতে পারেন।