কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আসিকুজ্জামান বলেছেন, ইদানিং অনেকে কুয়েতে এবং দেশে ইমো, হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিসা বিক্রির প্রতারণা করে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতারণায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি জেনে-বুঝে লেনদেন করার পরামর্শ দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিসা বেচাকেনা করে অনেকে প্রতারিত হচ্ছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশের ভিসা বেচাকেনার ফাঁদ পেতেছে কিছু চক্র। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ও লোভনীয় সুযোগ-সুবিধার কথা বলে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রবাসে যেতে আগ্রহী কিছু যুবক রাজধানীর গুলশানের আল সাফা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে কুয়েতের ভিসা কিনে প্রতারিত হয়েছেন। ১২ আগস্ট তাদের ভিসা ও ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানটি। তারা যুবকদের কাছ থেকে দুই লাখ, তিন লাখ টাকা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। দেশে থাকা বেকার সন্তান, ভাই ও বন্ধুর ভিসার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করে একই ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কুয়েতে থাকা প্রবাসীরাও।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোনো ধরনের খোঁজ-খবর না নিয়ে, না বুঝে, না জেনে অবৈধ উপায়ে লেনদেন না করতে অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আসিকুজ্জামান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে প্রতারক চক্র আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ রাখে না। যে কারণে পরে ঝামেলা হলে দূতাবাসে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে লিখিত কাগজপত্র ও সাক্ষী রাখতে বলেন রাষ্ট্রদূত।