২২ অক্টোবর এক ইমেইলে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে রোমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৯ হাজার ৭২৭ টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করা হয়েছে।
এসব ব্যক্তিরা মূলত কাজের ভিসা, উচ্চ শিক্ষা কিংবা পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় রোমানিয়া এসে প্রথম রেসিডেন্স পারমিট পেতে আবেদন করেছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য রোমানিয়ায় আসার হার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়া
আইজিআই জানিয়েছে, প্রথম রেসিডেন্স কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল থেকে আসা অভিবাসীরা। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সর্বোচ্চ নয় হাজার ৬১৫ জন নেপালি নাগরিক রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছেন।
চার হাজার ৯১৬টি কার্ড পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা থেকে আসা অভিবাসীরা। বাংলাদেশি অভিবাসীরা আছেন তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। তারা তিন হাজার ৫৫২টি রেসিডেন্স পারমিট পেয়েছে।
মলডোভার নাগরিকেরা পেয়েছেন দুই হাজার ৭১৩টি রেসিডেন্স পারমিট। তুরস্ক থেকে আসা অভিবাসীরা পেয়েছেন দুই হাজার ৬৬৫টি বসবাসের অনুমতিপত্র।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারতের নাগরিকেরা পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৮টি রেসিডেন্স পারমিট। এছাড়া পাকিস্তানের নাগরিকেরা পেয়েছেন এক হাজার ৪৬টি কার্ড।
এছাড়া মিশরীয়া এক হাজার ১৮টি, চীনা নাগরিকেরা এক হাজার ৮৪টি কার্ড, মরক্কো ৮৩৩টি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৯৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট।
২০২৪ সালের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের অবাধ চলাচলের শেঙ্গেন জোনে আংশিক অন্তুর্ভূক্ত হয়েছে রোমানিয়া৷ যার ফলে শেঙ্গেন প্রবিধান মেনে চলতে আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় অনিয়মিত অভিবাসনবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷
শ্রম ঘাটতি মেটাতে রোমানিয়ায় স্থাপিত বড় কোম্পানিগুলো বিদেশি নাগরিকদের উপর নির্ভর করছে। অপরদিকে, শেঙ্গেন জোনে প্রবেশ করায় বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার দেশটিতে আসার হার বাড়িয়েছে।