শীতলক্ষ্যা-৩ সেতু সড়ক যোগাযোগে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিতে যাচ্ছে। এই সেতু ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দূরত্ব কমিয়ে দিচ্ছে ৯ কিলোমিটার। শুধু দূরত্বই কমছে না এর ফলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কয়েক পয়েন্টের যানজটও হ্রাস পাবে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জানিয়েছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এই তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুটি যেন দুই মহাসড়কের বাইপাস। সেতুটি নারায়ণগঞ্জের চরসৈয়দপুর প্রান্ত থেকে বন্দর প্রান্ত পর্যন্ত সেতুবন্ধন তৈরি করছে। ৩৪০ মিটার মূল সেতু এবং ভায়াডাক্টসহ সেতুটি ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ। চারটি খুঁটিকে ভিত করে দাঁড়িয়েছে মূল সেতু। এক খুঁটি থেকে অপর খুঁটির দূরত্ব ২০ মিটার। দুই প্রান্তের ভয়াডাক্টের খুঁটির সংখ্যা ৩৪। মূল সেতু সরাসরি কংক্রিটের ঢালাই করা হলেও ভয়াডাক্ট তথা সংযোগ সেতুতে বসানো হচ্ছে কংক্রিটের স্প্যান। প্রকল্প এলাকায় তৈরি করে ক্রেনে করে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে স্প্যান। দুই খুঁটির মাঝখানে ৮টি করে স্প্যান বসছে। প্রতিটি স্প্যানই একটি করে লেন। সেতুতে মোট ৩৩ স্প্যান বসবে। ইতোমধ্যে ১৮টি স্প্যান বসে গেছে। এক একটা স্প্যানে ৮টি করে গার্ডার রয়েছে। সেতুটিতে ২৬৪টি গার্ডার বসবে। ইতোমধ্যে ১৭২টি গার্ডার স্থাপন হয়ে গেছে।
জনকণ্ঠ