চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি। বিভিন্ন দেশ থেকে এরকম আশ্রয়প্রার্থীর মোট সংখ্যা ৫ লাখ ১৯ হাজার।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)।
এ আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক। এছাড়া এ তালিকায় আরও রয়েছে তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা।
ইইউএএ’র সূত্র বলছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কয়েক বছর ধরেই আশ্রয়প্রার্থী বাড়ছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৫৩ শতাংশ বেশি ছিল। এ বছর আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বেশি। গত বছর প্রথম ছয় মাসে জমা পড়েছিল ৪ লাখ ৬ হাজারের মতো আবেদন। এ বছর তা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এবার আশ্রয়ের আবেদন করা প্রায় ৫৯ ভাগ মানুষের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করছে ইইউএএ।
এদিকে, ইইউ ব্লকের দেশগুলো আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বেশ চাপে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ৪০ লাখ মানুষ ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধের কারণে দেওয়া সুরক্ষা সুবিধা পাচ্ছেন তারা। এতে অন্য দেশগুলো থেকে ইইউ এলাকায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বাসস্থান ও সহযোগিতার ব্যবস্থা সংকুচিত হয়ে গেছে।
ইইউ দেশগুলো আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ চাপে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইইউএএ। এছাড়া, ২০২২ সালে জমা পড়া আবেদনের ৩৪ শতাংশ এখনো পরীক্ষা করে দেখা বাকি আছে।