১. অর্থের পরিকল্পিত ব্যবহার
অর্থসম্পদ বৃদ্ধিতে আপনার কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বার্ষিক আয় ও নেট সম্পদের ব্যবহারে আরো এগিয়ে যেতে লক্ষ্য নির্ধারণ প্রয়োজন। এ কাজে মধ্যম পন্থা গ্রহণ থেকে দূরে থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশালতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
২. ধন্যবাদ
ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা মেলে। কাউকে ধন্যবাদ জানাতে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করবেন না। সাক্ষাৎ করে মুখে কাজটি সারুন কিংবা একটি ‘থ্যাংক ইউ কার্ড’ পাঠিয়ে দিন। বিশেষ নোট আকারে কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনেক বেশি কাজে দেবে।
৩. সহায়তা নেওয়া
সহায়তার উৎস তৈরি করে রাখতে হয়। ভয় বা অস্বস্তি এমন এক বিষয় যা অন্যের সাহায্য চাওয়া থেকে মানুষকে বিরত রাখে। মানুষের কাছ থেকে প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়ার অভ্যাস অনেক শিক্ষা দেয়। এখানে কেবল অর্থসহায়তা বোঝায় না, পরামর্শ সবচেয়ে কার্যকর উপকার করতে পারে। কাজটি করতে সক্ষম হবেন কি না, তা স্পষ্ট হবে। আপনি সঠিক রাস্তায় আছেন কি না তা বুঝিয়ে দেবে এই উৎসগুলো।
৪. ‘টু-ডোন্ট’
সবাই ‘টু-ডু’ তালিকা করেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যে কাজগুলো করবেন না তার তালিকাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সফল মানুষরা করণীয়র সঙ্গে পরিত্যাজ্য কাজগুলো নিয়েও সতর্ক থাকেন। তাঁদের এমন অনেক কাজ রয়েছে। যেমন—প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি টেলিভিশন না দেখা, হুজুগে দামি ক্রয় থেকে বিরত থাকা, গসিপে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাঁদের ‘টু-ডোন্ট’ তালিকায় থাকে।
৫. পাঁচ মিনিটের ফোন
মাত্র পাঁচ মিনিটের ফোনের কথায় অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। সফল ব্যক্তিরা কারো জন্মদিন বা শুভেচ্ছা বিনিময় বা খোঁজখবর করতে মোবাইলে কল দিয়ে থাকেন। সামান্য কথা অনেক প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। এতে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
৬. এটি কিংবা ওটি নয়, দুটিই
উভয় পদ্ধতি অবলম্বন বা দুটি জিনিসই পাওয়ার চিন্তা করুন। এ চর্চায় অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার প্রাথমিক চিন্তা বাদ দিন। ভাবতে থাকুন, কিভাবে দুটিই হাসিল করা যায়। নিম্নবিত্তের মানুষরা সাধারণত অর্থ কিংবা জীবনের অন্যান্য বিষয়কে লক্ষ্য করে বেঁচে থাকে। কিন্তু সফলকামীরা দুটির কথাই চিন্তা করেন। অর্থ যেমন দরকার, তেমনি জীবনে অন্যান্য বিষয়কেও অবলম্বন করতে হবে।
৭. সফলতা যেন প্রাপ্য
এমন চিন্তা করতে শিখুন যেন সফল মানুষ হয়ে ওঠা আপনার প্রাপ্য। একে ভাগ্য মেনে নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকবেন না। অর্থাৎ, আপনি ধনী বা সফল হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। নিজের ওপর আস্থা বাড়বে। নিজের বিষয় মূল্যবোধ তৈরি হলেই না আপনি সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারবেন।