প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এয়ারলাইন্সটি। মাত্র একটি উড়োজাহাজ নিয়ে শুরু করা বিমানের বহরে বর্তমানে ২১টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে ফ্লাইট চালানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপেও পাড়ি জমিয়েছে তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ১৯৭২ সালে মাত্র একটি ডিসি-৩ উড়োজাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিমান বহর এখন ২১টি উড়োজাহাজ দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। লন্ডন, ম্যানচেস্টার, দুবাই, আবুধাবি, মাস্কাট, কুয়েত, জেদ্দা, মদিনা, দাম্মাম, রিয়াদ, দোহা, কাঠমান্ডু, ব্যাংকক, দিল্লি, কলকাতা, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। করোনার ধকল কাটিয়ে ভবিষ্যতে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ছাড়াও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, মুজিববর্ষ ও বিমানের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘বিমানের ৫০ বছর’ পূর্তির নতুন লোগো উন্মোচন করা হয়েছে।
বিমান জানায়, ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও সার্বিক সহযোগিতায় এয়ারলাইন্সটির পথচলা শুরু হয়। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে অসংখ্য মানুষের সান্নিধ্যে ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছে বিমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বিমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে একটি ডিসি-৩ উড়োজাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এখন ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
করোনাকালীন সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের প্রয়োজনে যাত্রী ও কার্গো পরিবহন সেবা দিয়েছে। সাশ্রয়ী খরচে টিকা ও সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহনসহ মহামারি ও অন্যান্য কারণে দেশে-বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান।