দুবাইয়ের এমিরেটস গ্রুপ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তারা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে এই বছরে তাদের মোট মুনাফা ১০.৯ বিলিয়ন দিরহাম। যা ডলারের হিসাবে তিন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এই বছরে গ্রুপের মোট রেভিনিউ ৮১ শতাংশ বেড়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে এমিরেটস এয়ারলাইনস থেকে মুনাফা এসেছে ২.৯ বিলিয়ন ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই বিমান সংস্থাটি কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের কারণে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছিলো আর তার আগের বছর এই ক্ষতির পরিমান ছিলো ৫.৫ বিলিয়ন ডলার। যা এবার কাটিয়ে উঠে রেকর্ড পরিমান মুনাফা লাভে সক্ষম হলো এমিরেটস এয়ারলাইন্স।
“আমরা পুরোপুরি ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছি,” বললেন এমিরেটস এয়ারের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল মাকতুম।
তিনি বলেন, “মানুষের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে, আর আমরা দ্রুতই আমাদের অপারেশনস চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এতেই এই মুনাফা।”
এই অর্থবছরে এমিরেটসের ৭৯.৫ শতাংশ আসনই পূর্ণ থেকেছে যা আগের বছর ছিলো ৫৮.৬ শতাংশ। এছাড়াও এ বছরে ১৫০ টি গন্তব্যে যাতায়ত করেছে আর আগের বছরে যাতায়ত করেছে ১৪০টি গন্তব্যে।
এছাড়া গ্রুপের ট্রাভেল সার্ভিস ডান্টা এ বছরে ৯০ মিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে। যা এক বছরের ব্যবধানে ২১০ শতাংশ বেশি।
এমিরেটস আরও জানায় তারা এ বছর বাণিজ্যিক এভিয়েশনে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমিয়ে আনার একটি গবেষণায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও ২০২২-২৩ অর্থবছরে তারা নতুন এয়ারক্র্যাফট, যন্ত্রাংশ কেনা ও যাত্রীসেবা বাড়াতে ২ বিলিয়ন ডলার লগ্নি করেছে। চলতি বছরে আরও ২০০টি এয়ারক্র্যাফট কিনছে এমিরেটস।
শেখ আহমেদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুনাফা ধরে রাখতে তারা কাজ করছেন। তবে মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপড়েণের দিকে তাদের নজর রয়েছে।