প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অবহেলায় ২ লাখ ইমিগ্রেশন প্রত্যাশীর গ্রীনকার্ড ভিসার কোটা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এসব ভিসা ২০২১ সালের জন্য ফ্যামিলি মেম্বারস ও আমেরিকান এম্পলয়ারদের স্পন্সরের কোটায় বরাদ্দ ছিল। প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ভিসা ছিল পরিবারভিত্তিক ইমিগ্র্যান্টদের জন্য। যার মধ্যে ভাই-বোন, বাবা-মা ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন পড়েন। ৮০ হাজার ভিসা রয়েছে চাকুরিভিত্তিক ইমিগ্র্যান্টদের জন্য। প্রশাসন এসব ভিসা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইস্যু করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা ছিল ২০২১ সালের ফি-স্কেল ইয়ারের শেষ দিন।
সরকার প্রতিবছর ৬ লাখ ৭৫ হাজার গ্রীনকার্ড ভিসা ইস্যু করে থাকে। এরমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজারই এবছর অব্যবহৃত রয়ে গেল। ৬ লাখ ৭৫ হাজারের ইমিগ্র্যান্ট ভিসার মধ্যে ৪ লাখ ৮০ হাজার পরিবারভিত্তিক, ১ লাখ ৪০ হাজার কর্মসংস্থান ও ৫৫ হাজার ডিভি লটারি বিজয়ীদের জন্য রাখা হয়ে থাকে। ২০২০ সালে কোভিড ১৯ এর কারণে ১ লাখ ভিসা ইস্যু বাস্তবায়ন হয়নি। ট্রাম্প অবশ্য করোনাকে ইমিগ্রেশন ভিসা ব্যানের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছিল। তখন বিভিন্ন দেশে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বাইডেন প্রশাসন ভিসা ব্যান প্রত্যাহার ও দূতাবাসগুলো খোলার পর ভিসা প্রসেসে গতি আনতে পারেনি। ইমিগ্রেশন বিভাগে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিতে পারেনি। যা কিনা ইউএস সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। যদিও ২০২১ সালের পরিবারভিত্তিক ১ লাখ ৫০ হাজার আনইউজড ভিসা ২০২২ সালের কোটার সাথে সংযোজন করা হয়েছে। তবে তা কার্যকর হতে হলে লাগবে কংগ্রেসের অনুমোদন। যেখানে রয়েছে এক পর্বত প্রমাণ রাজনৈতিক দ্বন্ধ।
ফেডারেল সরকার ধারাবাহিকভাবে বছরের পর বছর ইমিগ্রেশন ভিসা ক্যাপ পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে গ্রীনকার্ড আবেদনে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাকলগ। ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিবারভিত্তিক গ্রীনকার্ডের আবেদনে ব্যাকলগের পরিমাণ ৭০ লাখ ৫০ হাজার। আর কর্মসংস্থানভিত্তিক ব্যাকলগের পরিমাণ ১০ লাখ ৬০ হাজার। বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিকট আত্মীয়-স্বজনদের আমেরিকায় আনতে চাইলে আবেদনের পর পর ১৩ থেকে ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়। মেক্সিকানদের অপেক্ষা করতে হয় আরও বেশি। তা ২০ বছরের কাছাকাছি।
আজকাল