বিশ্বের নানা দেশের তরুণদের ওপর বিটিএসের বেশ প্রভাব রয়েছে। ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্যান্ড এরইমধ্যে কিছু বিগ হিট অ্যালবাম ও গান দিয়ে বিশ্ব মাতিয়েছে। গানের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে তারা, যা অনেকেরই চোখের আড়ালে থেকে যায়। অনেকে তাদের বিটিএস আর্মি বলেও ডেকে থাকেন।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা ও সুনাম অর্জনের পাশাপাশি এই ব্যান্ডের সদস্যরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। সেই টাকায় বিলাসী জীবন উপভোগ করেন ব্যান্ড সদস্যরা।
বিটিএসের অন্যতম সদস্য গায়ক ও গীতিকার পার্ক জিমিন। সবে ২৬ বছরে পা রেখেছেন জিমিন। গেলো ১৩ অক্টোবর নিজের ২৫ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি। এই অল্প বয়সেই জিমিন উপার্জন করে নিয়েছেন শত কোটি টাকা। আর তার আয়ের একমাত্র উৎস গান। যা তিনি বিটিএসের হয়ে কনসার্ট, হিট অ্যালবাম, চার্টের শীর্ষে ট্রেন্ডিংয়ে থাকার মাধ্যমে আয় করেন।
জিমিনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক নানা গণমাধ্যমে অনেক তথ্য ও ফিচার প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের কইমই ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিমিনের বিলাসী জীবনের নানা কথা।
সেখানে বলা হয়েছে জিমিন একজন ফ্যাশন সচেতন ও স্টাইলিশ গায়ক। পোশাক ও ফ্যাশনের নানা অনুষঙ্গের প্রতি তার বেশ আগ্রহ। পোশাক ছাড়াও বিটিএস আর্মি জিমিনের দামী জিনিসপত্রের প্রতি দারুণ ঝোঁক রয়েছে। তার পছন্দ ও সংগ্রহের একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছেও।
২০১৭ সালে একটি বিলবোর্ড কভার ফটোশুট করেন জিমিন। সেখানে তিনি যে কালো সোয়েড জ্যাকেটটি পরেন তার দাম ছিলো ৫৭৫৪ ডলার। টাকায় যার পরিমাণ ৪ লাখ ৯১ হাজার ২৩১ টাকা। তিনি আরও একটি জ্যাকেট পরেন সেই ফটোশুটে। সেটির মূল্য ছিলো সাড়ে তিন লাখেরও বেশি।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিটিএস গায়ক একটি লাইভ স্ট্রিমের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের পোশাক পরেন। তার শার্টের জ্যাকেট আনুমানিক ১৪৫০ ডলারের হয়। তিনি গুচি স্লিপার পরেন যার মূল্য ৮০০ ডলার।
জিমিন দক্ষিণ কোরিয়ার নাইন ওয়ান হান্নামে ৫.৭ মিলিয়ন ডলার (৪৮ কোটি ৬৬ লাখেরও বেশি টাকা) মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। তিনি আরও একটি ফ্ল্যাটের জন্য বিনিয়োগ করেছেন, যার জন্য ৩.৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে তাকে।