শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

২০২৫ সালেই চালু হচ্ছে মহাকাশ হোটেল

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
২০২৫ সালেই মহাকাশ হোটেল চালু করতে যাচ্ছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা অরবিটাল অ্যাসেম্বলি করপোরেশন!
ফলে খুব দ্রুতই ভিন্ন অভিজ্ঞতা লাভ করতে যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ।
মহাশূন্যে অবস্থান করেই পৃথিবীর কোনো পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার স্বাদ নিতে পারবে পর্যটকরা।
যেখানে ঘুম থেকে জেগে উঠেই সৌরজগতের অপার্থিব সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পাবেন তারা।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে হোটেলটিতে শূন্য এবং আর্টিফেসিয়াল গ্র্যাভেটির ব্যবস্থা রাখা হবে। ফলে ঘুমানোর জন্য কাউকে বিছানায় যেতে হবে না। বরং শূন্যে ভেসেই ঘুমাতে পারবেন।
আবার আর্টিফেসিয়াল গ্র্যাভেটির সাহায্যে পৃথিবীর কোনো হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া করার মত স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে বসে খাবার খেতে পারবেন তারা।
শুরুতে গেটওয়ে ফাউন্ডেশনে সাথে যৌথভাবে মহাকাশ হোটেল চালুর কথা ছিলো সংস্থাটির।
২০২৭ সালে চালুর লক্ষ্যে ভয়েজার স্টেশন নামক একটি মহাকাশ হোটেলের ডিজাইন ও করেছে।
যেখানে একত্রে চারশো জন মানুষের থাকার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা রাখার হবে বলে জানানো হয়েছিল।
সেই সাথে পাঁচ তারকা হোটেলের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি, জিম, গেমিং সুবিধা সহ সিনেমা হলের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
তবে তার আগেই ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নিয়ে পাইওনিয়ার নামের নতুন একটি স্টেশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
যেটি হবে বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় হাইব্রিড স্পেস স্টেশন। যেখানে পর্যটকরা কাজের পাশাপাশি থাকতে ও পারবেন।
নতুন হোটেলটি ও ভয়েজারের মতই রিং আকৃতির হবে। এর সাথে পৃথক পৃথক মোট পাঁচটি মডিউল যুক্ত থাকবে।
যেগুলোতে আটাশজন পর্যটক থাকতে পারবেন। মডিউল গুলো লিফট শ্যাফটের সাহায্যে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত থাকবে।
হোটেলটি মহাশূন্যে থাকা অবস্থায় পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকবে। ফলে সৌরজগত ও পৃথিবী দুটোই দেখা যাবে সেখান থেকে।
অরবিটাল অ্যাসেম্বলি একই ডিজাইনের দুটি হোটেল মহাকাশে স্থাপন করবে। যার প্রথমটি স্থাপিত হবে ২০২৫ সাল নাগাদ।
হোটেল দুটির ভেতরের নকশা বিলাসবহুল পাঁচতারকা হোটেলের মত হলেও বাইরের দিকে নকশা হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ভয়েজারের মত পাইওনিয়ারে ও রাখা হয়েছে পাঁচতারকা হোটেলের সকল সুযোগ সুবিধা। এতেও জীম, লবি বার, সিনেমা হল এবং রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মানুষের কাছে স্পেস ট্যুরিজম দিনদিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যেই বিশ্বের সেরা ধনীদের মধ্যে এই খাতটি নিয়ে বেশ প্রতিযোগীতা চলছে।
তবে জনপ্রিয়তা পেলেও এটি এখনো সবার কাছে সহজলভ্য হয়নি।
ভয়েজারে অবকাশ যাপনের জন্য একজন পর্যটককে গুনতে হবে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার!
খরচের পরিমান কমিয়ে আনতে অরবিটাল অ্যাসেম্বলী করপোরেশন কাজ করছে বলে জানান সংস্থাটির চিফ অপারেটিং অফিসার টিম এলাটোরে।
দিনদিন জনপ্রিয় ওয়ে ওঠা স্পেস ট্যুরিজম খাত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আট বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খরচ কমে আসলে মহাকাশ পর্যটকের সংখ্যা ও প্রায় এক মিলিয়নে পরিণতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যার কারনে ইতোমধ্যে এই খাতে আধিপত্য বিস্তার করতে প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম দুই ধনকুবে এলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মধ্যে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com