মানুষ সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই প্রকৃতির কাছাকাছি বাস করে আসছে। একারণে প্রকৃতির প্রতি তাদের একটা বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা আবিষ্কার করে চলেছে। সেই চেষ্টার ফলে বিশ্বের অনেক দুর্দান্ত জায়গা আবিষ্কার করেছে। তার মধ্যে কিছু সৃষ্টিকর্তার তৈরি এবং কিছু মানুষ তৈরি করেছে। মৃত্যুর আগে প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা থাকে এমন সুন্দর জায়গা সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।
অ্যান্টার্কটিকা
বিশ্বের সপ্তম এবং একমাত্র মানুষহীন মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। এটি বিশ্বের সর্বাধিক প্রত্যন্ত স্থান এবং এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -১২৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। জনসংখ্যার অনুপস্থিতি এটিকে একাকী জায়গায় পরিণত করে। বরফের এ মহাদেশ ঘিরে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। তবে ভ্রমণ পিপাসুদের তালিকায় অ্যান্টার্কটিকার নাম নেই। এর একমাত্র কারণ এখানকার প্রতিকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি। যে কেউ চাইলেই বরফের মহাদেশে পৌঁছাতে পারবেন না । পাশাপাশি এই ট্যুরও হবে খুব ব্যয়বহুল। তবে অর্থ ও চেষ্টা থাকলে অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমণ খুব বেশি জটিল বিষয় নয়।

এই গ্রহের আরও একটি দর্শনীয় জায়গা হলো জাপানের নিশিনোমারু গার্ডেন। এটি ওসাকা শহরে অবস্থিত এবং চেরি ফুলের সৌন্দর্য দেখতে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা। বাগানে ছয় শতাধিক বেশি চেরি গাছ এবং ৯৫ ধরনের এপ্রিকট ফুল রয়েছে।

বিশ্বের আর একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো চীনের রেড বিচ। সুয়েদা সালসার লাল উদ্ভিদের কারণে এই সৈকতকে লাল দেখা যায়। এর লালভাব দর্শকদের মন এবং হৃদয়কে আকর্ষণ করে এবং এর সৌন্দর্যে হতবাক হয়ে যায় মানুষ।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যভাগে একটি হ্রদ রয়েছে, যার পানির রং গোলাপী। এই হ্রদটির নাম হিলিয়ার হ্রদ। বিশেষ কোনো সময়ে নয়, একেবারে স্থায়ীভাবেই এই হ্রদের পানির রং গোলাপী। বিস্ময়কর এই গোলাপী রঙের পেছনে রয়েছে এক ধরনের ক্ষুদ্র শ্যাওলা। এর আধিক্যের কারণে পানির রঙে বিচিত্রতা এসেছে। এছাড়া এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে পানির রঙ গোলাপী হয়। ১৮০২ সালের ১৫ জানুয়ারি, ইংলিশ অভিযাত্রি ম্যাথু ফ্লিন্ডার সর্বপ্রথম এই লেক আবিষ্কার করেন। এর সৌন্দর্য যেকোনো ব্যক্তিকে মুগ্ধ করবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফরাসী পলিনেশিয়ার একটি ছোট্ট দ্বীপ বোরা বোরা। যা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার মোটামুটি মাঝামাঝিতে। পৃথিবীর বুকে যেন সত্যিকারের স্বর্গ এই দ্বীপটা। পর্বত আর সমুদ্রের এ ধরনের অসাধারণ সমন্বয় এটি। দ্বীপটি উপর থেকে একটি মালার মতো মনে হয়। অগভীর লেগুনের উপরই গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকা মানের সব রিসোর্ট। এ রিসোর্টগুলোর প্রত্যেকটি পানির উপরে গড়ে ওঠা আলাদা এক একটি বাংলো। এটি সম্প্রতি বিশ্বের সেরা দ্বীপের খেতাব পেয়েছে। এটি অবকাশযাপনের উপযুক্ত জায়গা।