পীত সাগর পাড়ের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার উন্নত দেশটির শ্রমবাজার এখন বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থানে আগ্রহীদের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে বাড়ছে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা। ইপিএসের আওতাধীন ভিসার কোটা নির্ধারণ করে ২০২৪ সালে রেকর্ড সংখ্যক ভিসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদ মাধ্যম দি কোরিয়ান ইকোনমিক ডেইলি দেশটির কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, দেশীয় শিল্পে ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের ঘাটতি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিতে এ ভিসা দিবে।
কোম্পানির মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইপিএসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নতুন এক লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসে গত ২১ নভেম্বর ইপিএসের আওতায় অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
এবারের ইপিএস কর্মীরা নতুন নতুন সেক্টরে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে রেস্টুরেন্ট সেক্টর, কফিশপ, কনস্ট্রাকশন সেক্টর, সেবা খাত সহ বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট সেক্টর উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ কোরিয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ই-৯ ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে অভিবাসী শ্রমিকদের কোটা প্রতিবছরই বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে অপেশাদার কর্মীদের জন্য ই-৯ ভিসা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৪ সালে থেকে দেশটি ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কর্মীর চাহিদা পূরণে এ ভিসা দিয়ে আসছে।
যেসব খাতে কর্মী নিয়োগ করা হবে তার মধ্যে উৎপাদন শিল্পে ৯৫০০০ জন,কৃষি খাতে ১৬০০০ জন, নির্মাণ শিল্পে ৬০০০ জন, মৎস্য খাতে ১০০০০ জন,জাহাজ শিল্পে ৫০০০ জন, সেবা খাতে ১৩০০০ জন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ২০০০০ জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে নতুন বছরে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসে গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় জানায়, ১৬টি দেশের শ্রমিকদের জন্য অভিবাসী শ্রম নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে ২০২৪ সালে কোরিয়াতে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।