আজ বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি ‘আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে করণীয়’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় সভায় আমচাষিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁরা দেশে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম চাষ এবং আমের আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন।
বিদেশে আম রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য উন্নত জাতের আমের অভাব। দেশের আমের জাতগুলোর সেলফ লাইফ কম, অর্থাৎ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সংগ্রহ–পরবর্তী পর্যায়ে শনাক্তকরণের অভাব। আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব। আর দেশের আমের ব্র্যান্ডিং ইমেজ সৃষ্টি না হওয়া এবং রপ্তানি কার্যক্রমে দক্ষতা, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের অভাব।
সভায় জানানো হয়, ২০২০ সালে থাইল্যান্ড বিশ্বের সর্বোচ্চ ৭৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের আম রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ১৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার ও পাকিস্তান ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের আম রপ্তানি করেছে। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ৫০ হাজার ডলারের (৪২ লাখ টাকা) আম রপ্তানি করেছে, যার বড় অংশ মূলত প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য রপ্তানি করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, আমচাষি, ব্যবসায়ী, শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারক এবং প্রাণ গ্রুপ, স্কয়ার ফুড, এসিআই, আকিজ ফুড, ব্র্যাক ডেইরিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।