1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
হোলি উৎসবে
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সস্তায় বিদেশ ভ্রমণ: স্বপ্নকে সত্যি করার বিজ্ঞানসম্মত গাইড ব্রিটেনে ভিসা বদল, বাংলাদেশিদের জন্য কী পরিবর্তন ক্রিপটিক গর্ভাবস্থা – যখন নিজেই জানেন না আপনি গর্ভবতী পর্যটন ভিসায় বিদেশ গিয়ে কাজ করলে কী কী শাস্তি হতে পারে স্পা থেকে সিনেপ্লেক্স , যা যা আছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানবন্দরে তিন বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেবে ইটালি, সুযোগ পেতে পারেন বাংলাদেশিরাও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউতে অভিবাসী কমেছে ২০ ভাগ, শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশ ভারতের এই গ্রামে মেয়েদেরকে কাপড় ছাড়াই থাকতে হয়

হোলি উৎসবে

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’—বেলা যত গড়ায়, শহর থেকে গ্রামে সবাই মেতে ওঠেন রঙিন খেলায়। রঙের খেলায় উৎসাহী না হলেও অন্যকে রং খেলতে দেখে আনন্দ পায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমাদের দেশের অনেকেই জানেন না যে এই উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য ভারত বা নেপাল ভ্রমণের প্রয়োজন নেই। বরং আমাদের প্রাণপ্রিয় ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারেই প্রতি বছর পরিপূর্ণ আমেজে হোলি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। তাই প্রতি বছর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসবে যোগদানের জন্য তরুণ-তরুণীরা দলে দলে শাঁখারী বাজারে ভিড় জমান। দেশি অতিথিদের পাশাপাশি প্রতি বছরই বাংলাদেশের এই উৎসবটিতে বিদেশি পর্যটকরা যোগ দিয়ে থাকে। আপনিও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার থেকে।

ইতিহাস

ইতিহাস মতে, পূর্ব ভারতে আর্যরা এই উৎসব পালন করতেন। যুগে যুগে এর উদযাপন রীতি পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। পুরাকালে বিবাহিত নারী তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনায় পূর্ণিমায় রঙের উৎসব করতেন। ‘নারদ পুরাণ’, ‘ভবিষ্য পুরাণ’ ও ‘জৈমিনি মীমাংসা’ গ্রন্থে রং উৎসবের বিবরণ পাওয়া যায়। ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এক শিলালিপিতে রাজা হর্ষবর্ধন কর্তৃক ‘হোলিকোৎসব’ পালনের কথা জানা যায়। হর্ষবর্ধনের নাটক ‘রত্নাবলী’-তেও হোলিকোৎসবের উল্লেখ আছে, যা দোলযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মধ্যযুগের বিখ্যাত চিত্রশিল্পগুলোর অন্যতম প্রধান বিষয় রাধা-কৃষ্ণের রং উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উৎসব বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়।

যা দেখবেন

নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই এই খেলায় অংশ নিয়ে থাকে। এই খেলায় বিভিন্ন রঙের অফুরন্ত ব্যবহার হয়। এতে রঙের গুঁড়া ও পানিতে মেশানো রং, দুই-ই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রং মাখামাখির জন্য হাতের পাশাপাশি ওয়াটার গান, পিচকারি ইত্যাদিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকি প্লাস্টিকের বোতলে ভরেও রং ছড়াছড়ি করা হয়। আর রঙের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে সাধারণ পানি। তাঁতীবাজার, শাঁখারী বাজারের আবাসিক এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই উৎসব চলে।

এ সময় বাসাবাড়ি থেকে রাস্তায় উৎসব পালনকারীদের ওপর বারবার অতর্কিতে বর্ষিত হয় বালতিভর্তি পানি। সৌভাগ্যবশত, পরিষ্কার পানি। এদিন বিশেষ করে চোখে পড়ে তরুণ-তরুণীদের রঙের খেলার প্রাণবন্ত দৃশ্য। হোলির রঙে শাঁখারী বাজার ও তাঁতী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা হয়ে উঠেছিল রঙিন। তরুণদের সঙ্গে ছেলে-বুড়ো এমনকি পথচারীরাও অংশ নেয় রং মাখানোর এ উৎসবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com