সুইজারল্যান্ড অনেকেরই স্বপ্নের দেশ। সেখানে ভ্রমণের স্বপ্ন সবার মনেই আছে। তবে অনেকেরই সাধ্য নেই সেখানে ঘুরতে যাওয়ার। আপাতত যাদের সুইজারল্যান্ড যাওয়া পরিকল্পনা বা সাধ্য নেই, তাই চাইলে ঘুরে আসতে পারেন হিমাচলে। সেখানকার কয়েকটি স্থান হুবহু মিলে যায় সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে।
এ কারণে হিমাচলের কয়েকটি স্থানকে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরচিত। তাই ভারত গিয়েই এবারের শীতে না হয় ঘুরে আসুন মিনি সুইজারল্যান্ডে। তুষারময় উপত্যকায় ঘেরা হিমাচল প্রদেশ। এর সৌন্দর্য কারো সঙ্গে তুলনা করা যায় না। হিমাচলের তুষারপাত শুধু ভারতীয়দেরকেই নয়, বরং সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
বছরের বিভিন্ন সময়েই পর্যটকের আনাগোনা সেখানে লেগেই থাকে। বিশেষ করে শীতকালে হিমাচলের দৃশ্য অনেকটা আপনার স্বপ্নের দেশের সঙ্গে মিলে যাবে। সেখানে দেখবেন, বরফের চাদরে ঢাকা পাহাড় ও উপত্যকার সারি। এই দৃশ্যের মায়ায় পড়েই পর্যটকরা প্রতিবছর সেখানে ভিড় করেন।
আপনিও যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন ও মনে সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের স্বপ্ন লালন করেন, তাহলে হিমাচল ভ্রমণে সেই স্বপ্নের কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হিমাচলের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনগুলো সে সম্পর্কে। প্রত্যেকেরই উচিত জীবনে অন্তত একবার হলেও মিনি সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করা-
যদিও ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ধর্মশালা নতুন জায়গা নয়, তবে স্টেডিয়াম ছাড়াও অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। ধর্মশালার উপরের অংশটি ম্যাক্লিওডগঞ্জ নামে পরিচিত। এটি একটি সুন্দর হিল স্টেশন। শুধু তাই নয়, ধর্মশালার কাছে কাংড়াও ঘুরে আসা যায়। সেখানকার সৌন্দর্যও আপনাকে মুগ্ধ করবে।
হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলা একটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। যেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে সারা বছরই পর্যটকরা ভিড় করেন। এই শহর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো বটেই, ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোও আপনাকে মুগ্ধ করবে। বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটে দিল্লি থেকে শিমলা পৌঁছাতে পারবেন।
হিমাচল প্রদেশের অন্যতম সুন্দর জায়গা মানালি। সেখানকার তুষারপাতের পাশাপাশি সবুজ মাঠ, পাহাড়ি নদী ও ফুলের বাগানও প্রচুর পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মানালিতে গেলে সেখানকার সুন্দর সুন্দর মন্দিরও ঘুরে দেখতে পারবেন।
ঠান্ডা মরুভূমি স্পিতি উপত্যকায় আপনি লাদাখের মতো ফিল পাবেন। সেখান থেকে চারদিকের বরফের পাহাড় আর দূর আকাশ যেন স্বপ্নের মতো মনে হয় পর্যটকদের কাছে। যদিও সেখানে শীতকালে প্রবল তুষারপাত হয়। তাই অনেক সময় বন্ধও থাকে স্থানটি।
কসৌলিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ একটি ছোট শহর। যেখানে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে যান। শীতকালে সেখানকার দৃশ্য সত্যিই আশ্চর্যজনক। কাসৌলিওর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মল পরিবেশ আপনাকে থাকতে বাধ্য করবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চের স্বাদ গ্রহণে আপনি যেতে পারেন বিলিং ভ্যালিতে। আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন ও শান্তি চান, তাহলে বিলিং ভ্যালিতে গিয়ে কিছুটা সময় কাটান। তুষারপাতের পাশাপাশি শীতকালে সেখানে দুঃসাহসিক কার্যকলাপও উপভোগ করতে পারেন। সেখানে প্যারাগ্লাইডিং ও ট্রেকিংয়ের সুবিধাও পান পর্যটকরা।