বছরে দুই লাখ ডলারের কম আয় করা পরিবারের সদস্যদের জন্য টিউশন ফি মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর এক লাখ ডলারের কম আয়কারী পরিবারগুলোর জন্য হার্ভার্ড কিছু সহায়তা দেবে; এতে করে আবাসন, খাদ্য, ভ্রমণ ব্যয় এবং স্বাস্থ্যবিমার খরচও বহন করবে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ৩৮৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শিক্ষার্থীর কাছে বেশি’ করে সাশ্রয়ী করে তোলা।
হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার বলেছেন, হার্ভার্ডকে আরও বেশি ব্যক্তির আর্থিক নাগালের মধ্যে রাখার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সব শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিসর আরও বিস্তৃত করে তাঁদের বৌদ্ধিক এবং ব্যক্তিগত বিকাশ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হওয়া এই নীতি ‘প্রত্যেক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর জন্য হার্ভার্ডে পড়াশোনাকে সম্ভব করে তুলতে’ সাহায্য করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলকে লক্ষ্য বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির (ডিইআই) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে এ পথে হাঁটছে হার্ভার্ড।
মধ্যম আয়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে হার্ভার্ডকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি। আইভি লিগ স্কুল জানিয়েছে যে এ পদক্ষেপের ফলে প্রায় ৮৬ শতাংশ মার্কিন পরিবার বা পরিবারের সদস্যরা চাইলে হার্ভার্ডে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোর বছরে গড় আয় ছিল ৮০ হাজার ডলার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপে ওই সব উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে দুই লাখের কম আয়ের পরিবারগুলোর জন্য টিউশন ফি মওকুফ করে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
এডুকেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড় খরচ হয় ৫৮ হাজার ডলার। ২০০১ সালের পর এই গড় খরচ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।