দুবাইয়ের পর কাতারের হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়াপোর্ট মধ্য প্রাচ্যের সবচেয়ে সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত এবং ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট।
২০২২ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ হতে যাচ্ছে কাতারে। শুধুমাত্র ওয়ার্ল্ড কাপের কারনে যাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুন বাড়তে পারে। সে উপলক্ষে কাতার এয়ারপোর্টটি সাজাচ্ছে নতুনভাবে। এক সময়ের দোহা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টই বর্তমানের হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
নতুন টার্মিনালটির কাজ সম্পন্ন হলে বছরে ৯৩ মিলিয়ন যাত্রী চলাচল করতে পারবে এই এয়ারপোর্টে।
সাগরের পাশে ভরাট করে মূলে বিমানবন্দরটি সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দরটির আয়তন ২২ স্কয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে।
২০১৪ সালে হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট যাত্রা শুরু করে। ২০১৫ সালে পৃথিবীর ৫০ তম ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট হিসেবে পরিচিত লাভ করে। টার্মিনাল -১ এ আছে বিশাল বিজনেস ক্লাস লাউঞ্চ।
২০১৮ সালে ৩৪.৫ মিলিয়ন যাত্রী হ্যান্ডেল করে এয়ারপোর্ট। ধারনা করা হচ্ছে ২০২২ সালে বিশ^কাপ উপলক্ষে প্রায় ৫৩ মিলিয়ন যাত্রী হ্যান্ডেল করতে পারবে
সেজন্য বিশাল এক কর্মযোগ্য চলছে পুরো এলাকা জুড়ে। নতুন টার্মিনালে একটি দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিং স্থাপন করা হয়েছে যার মধ্যে ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে ট্রপিক্যাল গার্ডেন। সাথে থাকছে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি এয়ারপোর্টের মতো একটি বিশাল ঝর্না। তৈরি করা হচ্ছে ১১ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ফুড কোর্ট এবং শপিং এরিয়া। স্থাপন করা হচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজের জন্য নির্দিষ্ট একটি লাউঞ্চ যার আয়তন প্রায় ৯ হাজার বর্গমিটার।
টেক অফ এবং ল্যান্ডিং এর জন্য পৃথক ২টি রানওয়ে। প্রথম রানওয়েটি ৪ হাজার ৮৫০ মিটার লম্বা। দ্বিতীয়টি ৪ হাজার ৪৫০ মিটার লম্বা। বিমানবন্দরটির সিকিউরিটি ব্যবস্থা ও অনেক উন্নত।