ভারতের রেল ব্যবস্থা বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্থান দখল করেছে। এই বৈচিত্র্যময় দেশে আপনি যেমন দেখতে পাবেন দীর্ঘতম রেল প্ল্যাটফর্ম, তেমনি দেখতে পাবেন পৃথিবীর সব থেকে কম দূরত্বের রেল স্টেশন। আবার তালিকায় রয়েছে বিশ্বের একদা সর্বোচ্চ রেল স্টেশনের (Highest Rail Station) নামও। অনেকেই কিন্তু রেলস্টেশনটির নাম জানেন না। স্টেশনের নাম হলো ঘুম।১৮৮১ সালে প্রথম এই স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঘুম স্টেশনের উচ্চতা ২,২৫৮ মিটার। আপনি যদি দার্জিলিং যান সেখান থেকে ঘুমের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ( Unesco World Heritage) এর তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত টয় ট্রেনটিও এই স্টেশন দিয়ে চলে।
ঘুম স্টেশনটি একেবারে পথের মাঝখানে নির্মিত এবং দেশ বিদেশের বহু পর্যটক এখানে সারা বছরই ভিড় জমান। স্টেশনটির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি সবাইকে মুগ্ধ করে। এখান থেকে মেঘের দল আপনমনে ভেসে যায়, চাইলেই ছোঁয়া যাবে মেঘ। চাইলেই একমুঠো মেঘ আপনি ব্যাগে পুরে রাখতে পারেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে যে টয় ট্রেনটি দার্জিলিং যায় সেটি ঘুম স্টেশন (Highest Rail Station) হয়েই যায়।
বেশ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে যেতে হয় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং। অনেক পর্যটকই ঘুম স্টেশন থেকে দার্জিলিং যায় টয় ট্রেনে। রেলস্টেশন সংলগ্ন ঘুম শহরে একটি রেলওয়ে জাদুঘরও রয়েছে। এই জাদুঘরে রয়েছে ঘুম রেলওয়ে স্টেশনের ২০০ বছরের পুরানো নানা তথ্য। দার্জিলিং থেকে যখন আপনি ঘুম যাবেন সেই সময়, চোখে পড়বে বাতাসিয়া লুপ। এটি আসলে ট্রেনের ট্র্যাকের একটি মোড়।
এখানকার পাহাড়ের সৌন্দর্য পর্যটকদের সবসময় আকৃষ্ট করে। দূর থেকে দেখা যাবে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। যেকোনো পার্বত্য অঞ্চলের উঁচু স্থানে যখন সরাসরি চড়াই পেরিয়ে উঠতে হয় সেটা বড়ই কষ্টকর। সেই জন্যই এখানকার টয় ট্রেনের ট্রাক আঁকাবাঁকা। এই লুপটি নির্মিত হয় ১৯১৯ সালে, যা এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার উদাহরণ।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেললাইন এবং সর্বোচ্চ স্টেশনটি (Highest Rail Station) অবস্থিত তিব্বতে। যার নাম টাংগুলা রেলওয়ে স্টেশন। যদিও এই স্টেশনে কোনও রেল কর্মচারী দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। ২০০৬ সালের ১ জুলাই এই স্টেশনটি খোলা হয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত ঘুম ই ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেল স্টেশন (Highest Rail Station)।