শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

হজে গেলে চেখে দেখতে পারেন সৌদির দারুণ সব খাবার

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক‘ 

অর্থ : আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সাম্রাজ্য আপনারই। আপনার কোনো শরিক নেই। (বুখারি, হাদিস : ১৫৪৯; মুসলিম, হাদিস : ২৮১১)

ইসলামের যে মূল পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে হজ অন্যতম। চলতি বছর হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে যাবেন বহু বাংলাদেশি। হজ কিংবা ওমরার সময় প্রত্যেকের শারীরিক সুস্থতা ও ফিটনেস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষকরে, কাবা শরিফের চারপাশ সাতবার তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার সাঈ করার মতো কাজগুলো সম্পন্ন করতে শরীরে শক্তির প্রয়োজন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তির জন্য দরকার সঠিক খাবার। বলা হয়ে থাকে, যে দেশেই যাওয়া হোক না কেন, সেখানকার খাবার অবশ্যই চেখে দেখতে হয়।

সৌদি আরবের খাবার নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলে থাকেন, খাবার বেশ ভালো। আবার কারো কাছে খুব ভালো লাগে না। খাবারে রয়েছে সৌদির নিজস্ব ঐতিহ্য। সৌদি আরবে প্রায় সব দেশের খাবারই পাওয়া যায়। ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ডাল প্রভৃতি দেশি খাবারও রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে সৌদি গিয়ে দেশি খাবারই খেতে হবে, এমন কোন কথা নেই। সৌদি গেলে যে খাবারগুলো একবার হলেও চেখে দেখা যেতে পারে;

তামিয়া:

সৌদির কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি হলো তামিয়া, যা ফালাফেল নামেও পরিচিত। ছোলা অথবা মটরশুটি কিংবা কিছু ক্ষেত্রে উভয় উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। তামিয়া সৌদি আরবে পাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ন্যাকসগুলোর মধ্যে একটি।

মান্দি:

সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। মাটির নিচে বিশেষভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় মান্দি। মাটিতে গর্ত করা চুলায়, কয়লার আগুনের তাপে ভাত ও মাংস সেদ্ধ করা হয়। ভাতের মধ্যে কিছুটা কিশমিশ, দারুচিনি ও এলাচি দেওয়া হলেও মাংসে কোনো মসলাই দেওয়া হয় না। চুলার নিচে থাকে ভাতের পাতিল, ওপরে ঝুলন্ত ছাগল। প্রচণ্ড তাপে ছাগলের শরীরের চর্বির খণ্ড নিচে ভাতের ওপর পড়তে থাকে। আর এতে নাকি স্বাদও বৃদ্ধি পায়।

হামাস:

মিডিল ইস্টার্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম হামাস। এই খাবারের রয়েছে প্রায় ৪ হাজার বছরের ঐতিহ্য। ধারণা করা হয়, ১৩ শতকের মিসরীয় একটি রেসিপির বইয়ে ‘হুমুস বি তাহিনা’ নামে লেখা এর প্রাচীন রেসিপি পাওয়া যায়। ছোলা, তাহিনি (তিলের পেস্ট), রসুন এবং লেবুর রস দিয়ে তৈরি করা হয় ডিশটি। ঐতিহ্যগতভাবে, হামাস রান্না হলে জলপাই তেল দিয়ে পরিবেশন করা হয় এবং তাজা বেকড খুবজের (সৌদির এক ধরনের রুটি) সাথে খাওয়া হয়।

খেবসা:

সৌদির খুব জনপ্রিয় খাবার এটি। কারও বাসায় দাওয়াত থাকলে খেবসা থাকবেই। বাসমতি চাল ও বিশেষভাবে তৈরি মাংসের মিশ্রণে তৈরি করা হয় খেবসা। মুরগি, গরু বা ভেড়ার মাংস, এমনকি মাছ দিয়েও খেবসা তৈরি করা হয়।

থারিদ:

মসলাযুক্ত ভেড়ার মাংস ও সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। এরপর পাতলা রুটির ওপর গরম গরম পরিবেশন করা হয়। পবিত্র রমজান মাসে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয় এবং এটিকে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর অন্যতম প্রিয় খাবার বলে মনে করা হয়।

গাওয়া:

সব খাবার খাওয়া শেষ! এরপর একটু চা কিংবা কফি না খেলে কী হয়? গরম পানিতে বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে তৈরি বহুল প্রচলিত একটি পানীয় গাওয়া। কাপে করে চায়ের মতো পান করতে হয় গরম গরম। গাওয়া খেলে নাকি শরীর চাঙা হয়, কর্মস্পৃহা বাড়ে, খুসখুসে কাশি সেরে যায়। কোনো চিনি দেওয়া নেই। অনেকে খেজুর দিয়ে খান।

সূত্র: বুখারি, মুসলিম, হাদিস, সেফ’স পেন্সিল, ট্র্যাভেল ব্লগ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com