বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিগগিরই চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক রাডারব্যবস্থা

  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

দেশে শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক রাডার ও নেভিগেশনব্যবস্থা। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা বসছে। চলতি বছরের শেষ দিকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এই তথ্য জানিয়েছে।

বেবিচক সূত্র বলছে, অত্যাধুনিক এই ব্যবস্থা চালু হলে বাংলাদেশের পুরো আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসবে। এতে উড়োজাহাজ চলাচল আরও নিরাপদ হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ।

বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

বিদ্যমান রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থাটি প্রায় ৪৩ বছরের পুরোনো। বেবিচক জানায়, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের পুরো আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসে না। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের অংশ। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। কারণ, নিয়ম অনুয়ায়ী, অন্য কোনো দেশের উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিধান আছে। আকাশসীমা একবার ব্যবহারের জন্য ‘ফ্লাইং ওভার চার্জ’ নামের এই ফি-এর পরিমাণ প্রায় ৫০০ ডলার।

রাডারব্যবস্থা স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।…আগামী অক্টোবরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে এই রাডারব্যবস্থা উদ্বোধন করার পরিকল্পনা আছে

মো. মাহবুব আলী, প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন

বেবিচক বলছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আধুনিক রাডার ব্যবস্থাপনা চালু হলেও তা পুরো মাত্রায় কার্যকর হতে আগামী বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর আন্তর্জাতিক রুটের কোনো বিদেশি উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করলেই ফি আদায় করতে পারবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ১৯৮০ সালের রাডার ব্যবস্থাটি ইতিমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এটি প্রতিস্থাপন করে নতুন রাডার বসানো জন্য ২০০৫ সাল থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

২০১৭ সালের ১ মার্চ রাডার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে সমালোচনা হয়। পরে এই অনুমোদন বাতিল করা হয়।

২০২১ সালে বেবিচক তার নিজস্ব অর্থায়নে এ-সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন পায়। এ ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা।

‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিএনএস-এটিএম (কমিউনিকেশন, নেভিগেশন ও সার্ভিল্যান্স-এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) সিস্টেমসহ রাডার স্থাপন’ নামের প্রকল্পের কাজ আগামী বছর (২০২৪ সাল) শেষ হওয়ার কথা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের রাডার প্রস্তুতকারী কোম্পানি থ্যালেসের সঙ্গে চুক্তি করে বেবিচক। চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে রাডার স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, রাডারব্যবস্থা স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে আছে। অত্যাধুনিক এই রাডার পরিচালনার জন্য বেবিচকের কর্মকর্তাদের থ্যালেসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে এই রাডারব্যবস্থা উদ্বোধন করার পরিকল্পনা আছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com