আর সব মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো তাকে ঘিরেও হয়তো পরিবারের স্বপ্ন ছিল, ছেলে পড়াশোনা শেষ করে একটা সরকারি চাকরি জুটিয়ে নেবে। স্যামসন এইচ চৌধুরী চাকরিটা পেয়েওছিলেন। কিন্তু ডাক বিভাগের সেই চাকরিটায় মন টানছিল না তাঁর। কেবলই মনে হচ্ছিল, এই চাকরির গণ্ডিতে আটকে থাকা তাঁর জন্য নয়। বড় কিছু হাতছানি দিয়ে ডাকছিল তাকে!
১৯৫২ সালে ডাক বিভাগের চাকরিটা ছেড়েই দিলেন। অলস বসে না থেকে বাবার হোসেন ফার্মেসিতে বসতে শুরু করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে কাজকারবার করতে করতে তখনই তার মাথায় খেলে যায় একটা ভাবনা। আচ্ছা, একটা ওষুধ কোম্পানি দিলে কেমন হয়?
বছর চারেক পর বাবার কাছ থেকে টাকা ধার করে পাবনার আতাইকুলাতে ইসন্সস নামে ছোট ওষুধ কোম্পানি করেন তিনি। সেটিকে বড় করতে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নেন। কাজী হারুনূর রশীদ, পি কে সাহা ও রাধাবিন্দ রায়। পুঁজি মাত্র ২০ হাজার টাকা। চারজন মিলে যেন চার বাহুর একটি বর্গ পূরণ হলো।
সেই থেকে নাম দেওয়া হলো স্কয়ার। শুরুতে সাধারণ সর্দি–কাশির সিরাপ বানিয়ে হাতেখড়ি। ১৯৫৮ সালে স্কয়ার নামে যে ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হলো, ২০ হাজার টাকার সেই স্কয়ার এখন পরিণত হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানিতে!
Like this:
Like Loading...