প্রতিবেদনে বলা হয়, কলেজে পড়ার সময় ২০১০-এর দশকের শুরুর দিকে স্পেসএক্স-এ ইন্টার্নশিপ করতে আসেন ওই নারী। সেসময় ওই নারীর সঙ্গে মাস্কের প্রথম পরিচয় হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের সঙ্গে স্পেসএক্স-এর সাবেক এক নারী ইন্টার্ন কর্মীর অল্প কিছুদিনের একটি সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কলেজে পড়ার সময় ২০১০-এর দশকের শুরুর দিকে স্পেসএক্স-এ ইন্টার্নশিপ করতে আসেন ওই নারী। সেসময় ওই নারীর সঙ্গে মাস্কের প্রথম পরিচয় হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওই নারী তার বন্ধুদের বলেছিলেন যে তিনি স্পেসএক্স-এর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন আইডিয়া দিয়েছিলেন মাস্ককে। এভাবেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়, তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে ডেটেও যান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্ক ২০১৭ সালে নিজে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার নির্বাহী কর্মীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
ওই নারীর বরাতে তার আইনজীবী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, তিনি [ওই নারী] ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্পেসএক্স-এ কাজ করেছেন।
ওই নারীর আইনজীবীর দেওয়া হলফনামায় তিনি বলেছেন, তবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্পেসএক্সে কাজ করার সময় মাস্কের সঙ্গে তার কোনো ‘রোমান্টিক সম্পর্ক’ ছিল না।
ওই নারী বলেন, ‘স্পেসএক্স-এ আমার চাকরির সময় ইলন মাস্ক আমার প্রতি কোনো অন্যায় করেননি।’
হলফনামায় বলা হয়েছে, স্পেসএক্স-এ পূর্ণকালীন চাকরি করার আগে তার মাস্কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বিষয়টি সম্পর্কে জানা ব্যক্তি এবং ওই নারীর বন্ধুরা জানিয়েছেন, স্পেসএক্স-এ চাকরি করার সময় তিনি একাধিকবার মাস্কের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে ওই নারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, ওই নারী এবং মাস্ক উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবীরা তাদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ওই নারীর নাম প্রকাশে নিষেধ করেছেন।
মাস্ক এবং স্পেসএক্স-এর প্রতিনিধিরা মন্তব্যের জন্য বিজনেস ইনসাইডারের অনুরোধে সাড়া দেননি।
এছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বিজনেস ইনসাইডার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্পেসএক্স কয়েকটি যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে স্পেসএক্সের সাবেক সাতকর্মী অভিযোগ করেন, নির্বাহী কর্মকর্তারা নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেন এবং যৌন হয়রানি নিয়ে কৌতুক করেন।
তারা ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিক অধিকার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
মাস্কের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের ব্যক্তিগত অভিযোগও রয়েছে।
২০২২ সালের মে মাসে, বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পরে ২০১৮ সালে স্পেসএক্স একজন প্রাক্তন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে আড়াই লাখ ডলার দিয়েছিল।
মাস্ক এই দাবি অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন এসব তথ্য মিথ্যা।