সব ধরনের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি:
- স্পেন দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করে তারিখসহ সাক্ষর করতে হবে।
- পরিকল্পিত সফর শেষেও পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত তিন মাস থাকতে হবে।
- সাদা পটভূমিতে তোলা ৩৫×৪৫ মিমি সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি দিতে হবে, রঙিন চশমা বা মাথায় টুপি পরে ছবি তোলা যাবে না।
- পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠাগুলোয় তথ্য দেয়া হয় সেগুলোর স্পষ্ট ফটোকপি।
তবে বিজনেস ভিসার জন্য আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রমাণের জন্য সেনজেন দেশগুলোর কোথায় যাওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করে সেমিনার বা ওয়ার্কশপের আমন্ত্রণপত্র দেখাতে হয়,
- আমন্ত্রণকারী ভ্রমণ ব্যয় বহন করলে তার প্রমাণপত্রও দিতে হয়,
- ব্যবসার রেজিষ্ট্রেশন এবং ট্রেড লাইসেন্সের কপি,
- হোটেল বুকিং এর কাগজ পত্রের কপি।
ভ্রমণ ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র দিতে হয়:
- স্পন্সর থাকলে স্পন্সরের পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের মূলকপি এবং ফটোকপি,
- বেকার নয় এটা প্রমাণের জন্য বিগত তিন মাসের বেতনের প্রমাণপত্র
- স্পন্সর না থাকলে হোটেল বুকিং এর প্রমাণপত্র,
- ছুটির মেয়াদ উল্লেখ করে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানের দেয়া সনদ,
- বিগত ছয় মাসে ব্যাংক একাউন্টের বিবরণী,
- অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণপত্রও চাওয়া হয়।
এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসা
বিমান ভ্রমণের সময় সেনজেন দেশগুলোয় যাত্রাবিরতি করলে এ ধরনের ভিসা নিতে হয়। তবে এ ভিসার আওতায় বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকার বাইরে যাওয়া যায় না। ট্রানজিট এলাকার বাইরে গিয়ে হোটেলে থাকতে চাইলে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- গন্তব্য দেশের ভিসা
- বিমান টিকেট
বিশেষ ক্ষেত্রে:
চিকিৎসা: চিকিৎসার জন্য স্পেন যেতে চাইলে প্রথম একজন বাংলাদেশী চিকিৎসকের দেয়া সনদ নিতে হবে। এরপর ফ্রান্সে যে চিকিৎসক বা হাসপাতালে দেখানো হবে সেখান থেকে প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে চিকিৎসার আনুমানিক খরচ এবং সময়ের উল্লেখ থাকবে। রোগী বা রোগী আত্মীয়ের সামর্থ্যের প্রমাণপত্র এবং অগ্রিম চিকিৎসক ব্যয় অগ্রিম প্রদান করা হয়েছে এই মর্মে প্রমাণপত্র।
শিশুদের ক্ষেত্রে: বাবা-মায়ের পাসপোর্টে শিশুরা ভ্রমণ করতে চাইলে আলাদা একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে, সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া ছুটির অনুমতিপত্র দিতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা অভিভাবকের সাথে বা আলাদা যেভাবেই ভ্রমণ করুক না কেন, অভিভাবকের সম্মতিপত্র প্রয়োজন হয় ভিসা নেবার জন্য।
বিদেশী নাগরিকদের জন্য: বিদেশী নাগরিকগণও ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে পারেন। তাদের নিয়মকানুনও একই তবে বাংলাদেশে থাকার ভিসার মেয়াদ ভ্রমণ সময় শেষ হওয়ার পর অন্তত তিন মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
ছাত্র ভিসা
আবেদনের শর্ত
স্পেনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে এবং ভর্তির প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র হাতে আসতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য, কাগজপত্র ও ফি:
- বৈধ পাসপোর্ট
- দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা আবেদনের ফরম পাওয়া যায় সেটি ডাউনলোড করে দুই কপি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম দূতাবাস অফিসেও পাওয়া যায়।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বিমান টিকেট
- ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি বাবদ ৯৯ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ জমা দিতে হয়, যা অফেরতযোগ্য।
- জন্ম সনদ
- জীবনবৃত্তান্ত
- সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি
- স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চিঠি।
- ফরাসী বিশ্ববিদ্যালয় বা বাংলাদেশের কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে দেয়া স্বাস্থ্য বীমার সনদ প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা ওয়েবসাইটে ফ্রান্স দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
- টিউশন ফি জমা দেয়া হয়ে থাকলে তার রশিদ,
- বাবা-মা বা যিনি খরচ বহন করবেন তার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর।
- বৃত্তি নিয়ে পড়তে যেতে চাইলে তার প্রমাণপত্র।
অন্যান্য তথ্য:
সকল কাগজপত্রের মূলকপি ও ফটোকপি জমা দিতে হবে, আর সব কাগজপত্র অবশ্যই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতে হবে।
প্রক্রিয়া
- কাগজপত্রসহ পুরো ফাইলটি প্রস্তুত করতে হবে।
- দূতাবাসের কালচারাল অ্যাটাশের সাথে ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে ফাইল নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।
- ভিসা বিভাগের জন্য আরেকটি ঐচ্ছিক এ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া হবে।
- পর্যালোচনা শেষে ভিসা দেয়া না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে এবং মূল কাগজপত্রগুলো ফেরত দেয়া হবে।
প্রয়োজনীয় সময়
পুরো প্রক্রিয়াটিতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই যথাশীঘ্র সম্ভব আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়।