স্নোনেংপেডেং যা দেখবেন

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি দর্শনীয় স্থান স্নোনেংপেডেং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি স্নোনেংপেডেংয়ে সব বয়সের মানুষকে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। আপনাদের জানাবো স্নোনেংপেডেংয়ে যাওয়ার উপায়, সেখানে থাকার ব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু-

কীভাবে ও কখন যাবেন?

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি দর্শনীয় স্থান স্নোনেংপেডেং। সীমান্ত-শহর ডাউকির উত্তর-পশ্চিম দিকের ৮ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ এটি। অবসরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সব ধরনের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। স্নোনেংপেডেংয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সিলেটে যেতে হবে। তার তামাবিল সীমান্ত অতিক্রম করে সহজেই ভ্রমণ করা যায়। অক্টোবর থেকে এপ্রিল স্নোনেংপেডেংয়ে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ শীতকালে নদীর পানি স্বচ্ছ থাকে। কিন্তু মৌসুমী সময়ে নদী কাদায় রূপ নেয়। বৃষ্টি হলে নদীর স্বচ্ছতা হারিয়ে যায় ও কাদার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

কোথায় থাকবেন?

স্নোনেংপেডেংয়ে তাঁবু খাটিয়ে দর্শনার্থীদের রাত কাটাতে দেখা যায়। দর্শনীয় স্থানটিতে গভীর রাত অবধি অবস্থান করার জন্য বিভিন্ন তাঁবু ভাড়া নিতে হয়। গভীর রাতে তাঁবুতে বসে নদীর প্রবাহ দেখে সময় কাটিয়ে দেন অনেক মানুষ।

কোথায় যাবেন?

শিলং থেকে ৩-৪ ঘণ্টার দূরত্ব ক্র্যাং সুরি জলপ্রপাত। জলপ্রপাতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য বহুদূর থেকে মানুষ ছুটে আসেন। ক্র্যাং সুরি জলপ্রপাত থেকে ৪৫ মিনিটের পথ স্নোনেংপেডেং। বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত থেকে এখানে খুব সহজে যাওয়া সম্ভব। এখানকার স্বচ্ছ পানির নদী দেখে অনেক পর্যটক বিমোহিত হন।

কি করবেন?

স্নোনেংপেডেংয়ে অনেকেই নৌকায় ভ্রমণ করেন। একটি নৌকায় ৪ থেকে ৭ জন বসতে পারেন। আধা ঘণ্টায় নৌকায় ঘুরিয়ে ৭০০ রুপি নেন মাঝিরা। এছাড়া এখানে মাছ ধরার জন্যও আসেন অনেক মানুষ। স্বচ্ছ পানিতে সহজেই মাছ ধরা যায়। এখানে একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজটিতে ৭ থেকে ৮ জনের বেশি মানুষ উঠতে পারেন না। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী মানুষকে এখানে ভ্রমণ করতে দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: