উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের দেশ হচ্ছে কানাডা। শিক্ষার মান, স্কলারশিপ প্রাপ্তি, বাৎসরিক টিউশন ফি, আবাসন সুবিধা, শিক্ষার্থীদের আয়ের পথ এবং শিক্ষাজীবন শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগসহ অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় কানাডা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য অপার সম্ভাবনাময় দেশ। বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নানান ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
তেমনি একটি জনপ্রিয় স্কলারশিপ হচ্ছে কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রেসিডেন্ট’স ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অফ এক্সিলেন্স’। এ স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের স্নাতক প্রোগ্রামে অধ্যায়নের সুযোগসহ প্রতি বছর ৪৫ হাজার ডলার করে প্রদান করবে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। কানাডার সবচেয়ে প্রাণবন্ত শহর টরন্টো, অন্টারিওতে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় হ’ল একটি পাবলিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী কানাডার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃত।
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
মেধার ভিত্তিতে সেরা ২০ জন শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপ দেয়া হবে। এছাড়া ১৫ জনকে ৩০ হাজার ডলার করে প্রদান (Tentanda Via Award ) করা হবে। এরপর ২ জনকে ২০ হাজার ডলার করে প্রদান ( Global Leader of Tomorrow Award) করা হবে। মোট ৪ বছর এ স্কলারশিপ দেয়া হবে।
* যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
* শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির যেকোনো বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারবেন।
যোগ্যতার মানদণ্ড:
* কানাডায় পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট পাওয়া একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে।
* ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রামে আবেদন করতে এবং ভর্তির সুযোগ পেতে হবে।
* উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে।
* একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
* নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
* দুইটি রিকোমেন্ডেশন লেটার।
আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে আবেদন করা যাবে।